অবশেষে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকার বিয়ে : যৌতুক ৩ লাখ ২৫ হাজার
হামিদা আক্তার, নিজস্ব প্রতিবেদক : নিন্দুকেরা যাই বলুক না প্রেম সার্থক হবেই। ভালোবাসার পথে যতই কাঁটা থাকুক, থাকুক আঁকাবাঁকা, ভালোবাসার মিলন হবেই। এমনটাই প্রত্যাশা ছিলো প্রেমিকা স্কুল ছাত্রী তানজিনা আক্তারের (১৬)। এই দূর্গম পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে বিয়ে পিড়িতে বসেছে প্রেমিকা। বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে অবস্থান করে অবশেষে ০৩ দিন ০৩ রাত অতিকবাহিত করে ভালোবাসা সার্থক করেছে সে। প্রসঙ্গত, প্রেম মানে না ভালো মন্দ, মানে না ধনী কিংবা গরীব। প্রেমেই স্বর্গ,প্রেমেই নরক, প্রেম যেন এক অফুরন্ত ভালোবাসার আশ্রয়স্থল। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটি যদি প্রেমের নামে করে ছলনা কিংবা প্রেমের অভিনয়ে কেড়ে নেয় সর্বশ্ব, তাহলে কোথায় ঠাঁই হবে ভালোবাসার। এমনি একটি ঘটনার খবর আওয়ার নিউজ বিডি ডট কম নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হওয়ায় নড়ে চড়ে বসেন স্থানীয় একটি মহল। সালিশ-বৈঠকে প্রকাশিত খবরটি পেয়ে ঐ বৈঠকেই সিন্ধান্ত হয় মেয়েটিকে বিয়ে করতে হবে প্রেমিক মফিজুল ইসলামকে। যেহেতু মেয়েটি সর্বশ্ব হারিয়েছে আজিজুল ইসলামের পুত্র মফিজুল ইসলামের কাছে। সেহেতু তাকেই বিয়ে করতে হবে মেয়েটিকে। বৈঠকে সিন্ধান্ত হয় কন্যা দায়গ্রস্ত তানজিনার পিতা রমজান আলীকে বিয়ের উপহার সামগ্রী হিসেবে মফিজুলের পিতা আজিজুলকে দিতে হবে ১ টি মোটর সাইকেল (১ লাখ ৫০ হাজার) , নগদ হাতে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ৭৫ হাজার এবং বাকী ১ লাখ টাকা বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে। তবেই এ বিয়ে হবে। এ ঘটনায় কন্যা দায়গ্রস্ত অসহায় পিতা রমজান আলী সব কিছু মাথা পেতে নিয়ে ১০ হাজার টাকা অগ্রিম বায়নামা হিসেবে তাৎক্ষনিক সালিশ-বৈঠক মজলিসের বিচাররকদের হাতে তুলে দেন। কথা অনুযায়ী আজ ১৪ ডিসেম্বর তানজিনা-মফিজুলের বিয়ের রেজিষ্ট্রি করা হবে। আর যেদিন যৌতুকের টাকা ও মোটর সাইকেল কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা দিবে সেদিনেই হবে আনুষ্ঠানিক বিয়ে। এমনটাই জানালেন বৈঠকে থাকা জনৈক্য নারীনেত্রী। উল্লেখ্য, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া (চাকদাবাস) গ্রামে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকা স্কুল ছাত্রী গত দুই দিন ধরে তার প্রেমিকের বাড়ীতে অবস্থান করলেও কোন কুল কিনারা খুঁজে পায়নি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। জানা যায়, ১১ ডিসেম্বর থেকে উক্ত গ্রামের আজিজুল ইসলামের বাড়ীতে একই গ্রামের রমজান আলীর ¯কুল পড়–য়া খগাখড়িবাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী তানজিনা আক্তার (১৬) বিয়ের দাবীতে অবস্থান করে প্রেমিকের বাড়ীতে। আজিজুল ইসলামের ছোট ছেলে মফিজুল ইসলাম তানজিনার সাথে দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। সে থেকেই সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুৃলে। ১১ ডিসেম্বর রোববার সন্ধায় মফিজুল তানজিনাকে বাড়ীতে ডেকে আনে বিয়ে করবে বলে। ঘটনার দিন রাত আনু: দেড় টায় স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজার রহমান তানজিনাকে ছেলের বাড়ী থেকে নিয়ে তার নিজ বাড়ী (রমজান আলী)’র বাড়ীতে পৌছে দেয় স্থানীয় মিমাংশার কথা বলে। পরে ইউপি সদস্য আজিজার রহমানকে মেয়ের পরিবারের লোকজন চাপ দিতে থাকলে মেম্বার মেয়েটিকে আবারও সোমবার দিনগত রাতে মফিজুল ইসলামের বাড়ীতে রেখে আসে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে বিষয়টি মিমাংশা জন্য আবারও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা মিমাংশার জন্য চেষ্টা করতে থাকে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংশার জন্য সালিশ-বৈঠক ডেকে মফিজুল এর বাড়ীতে সংরক্ষিত আসনের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য, নারী নেত্রী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকলেই বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সিন্ধান্ত হয় তানজিনার বিয়ে মফিজুলের সাথেই দেয়া হবে। তবে যৌতুক হিসেবে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে তানজিনার পিতা রমজান আলীকে বলে একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র জানিয়েছেন এ প্রতিবেদককে।
মন্তব্য চালু নেই