ডিমলায় মে দিবসে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নানা কর্মসূচী

হামিদা আক্তার, নীলফামারী থেকে : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় আর্ন্তজাতিক মহান মে দিবসে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে দিবসটি উৎযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলার বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন, ট্রাক্টর মালিক সমিতি, জাতীয় শ্রমিকলীগ ও আর্ন্তজাতিক শ্রমিক ইউনিয়ন দিনের শুরুতে সকাল ৯ টায় জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিসবটি কর্মসূচী শুরু করে।

এর পরেই শ্রমিক সংগঠনগুলি পৃথক পৃথক বনার্ঢ্য র‌্যালী বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। শ্রমিক সংগঠনগুলি তাদের বনার্ঢ্য র‌্যালী শেষ করে উপজেলার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সৌধ ”স্মৃতি অম্লান” এ পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের র‌্যালীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম অংশগ্রহন করেন। পরে স্মৃতি অম্লান চত্তরে শহীদ শ্রমিকদের স্বরনে ০১ মিনিট নিরবতা পালনের পরেই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান খান লোহানী, নীলফামারী জেলা শাখার কার্যকরী সভাপতি মোঃ মাহাবুব ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম প্রমুখ।

দিবসটি পালনে ০১ লা মে সন্ধায় বিশাল শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে শ্রমিক সংগঠনের নেতা মোঃ শফিউল ইসলাম সফি জানেিয়ছেন । তিনি আরো জানান, সন্ধায় শ্রমিক জনসভা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জারীগানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মহান মে দিবস। মেহনতি মানুষের বিজয়ের আনন্দ ও সংহতি প্রকাশের দিন।অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অনুপ্রেরণার দিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে শিকাগোর হে মার্কেট দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মসময় ও ন্যায্য মজুরির দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল।

১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত শ্রমিকদের দ্বিতীয় আর্šÍজাতিক সম্মেলনে প্রতিবছর দিবসটিকে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই থেকে সারা পৃথিবীর মেহনতি মানুষ বিশেষ মর্যাদায় দিবসটি পালন করে আসছে। বাংলাদেশেও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে দিবসটি পালন করে আসছে। মানব সভ্যতার চাকা এগিয়েছে শ্রমদানকারী শক্তির শ্রম, ঘাম আর রক্তের উপর দিয়ে। এ প্রেক্ষাপটে একজন শ্রমিক অবশ্যই মূল্যায়িত হবে তার অবস্থান থেকেই।

বৈষম্য হ্রাস করে শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের অধিকার রক্ষার বিষয়ে সরকারসহ সব সামাজিক শক্তিকে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে। শিল্পের মালিকদেরও হতে হবে আরো মানবিক। তাঁদের মানবিকতা শুধু শ্রমিককে তার কাজে অধিক উদ্বুদ্ধই করবে এর বহুমুখী ইতিবাচক প্রভাব রাষ্ট্রেও পড়বে। শ্রমিক-মালিক কিংবা সরকার মিলিতভাবেই সমৃদ্ধির চিত্র উত্তরোত্তর পুষ্ট করতে পারে সবার সদিচ্ছা পোষণের মধ্য দিয়ে। কাজেই তৈরি করতে হবে শ্রমিকবান্ধব পরিবেশ ।



মন্তব্য চালু নেই