কিশোরগঞ্জে দফায় দফায় বাড়ছে চালের দাম

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় গত দু মাসের ব্যবধানে দফায় দফায় চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে খেঁটে খাওয়া মানুষ ও নি¤œ আয়ের মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবার। চালের দাম প্রতি ৫০ কেজির বস্তা ১ শত টাকা থেকে ১৫০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান পাইকারী বিক্রেতারা। তবে সাধারণ ভোক্তা ক্রেতাদের কাছ থেকে জানা যায় ৫০ কেজির প্রতিটি বস্তার দাম বেড়েছে ২শত থেকে ২৫০ টাকা। তবে মানভেদে চালের দাম বস্তা প্রতি ৩ শত টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। কিশোরগঞ্জ বাজারের পাইকারী ও আড়ৎদারদের কাছ থেকে জানা গেছে, স্বর্না মোটা চালের ৫০ কেজি বস্তা ১৬শ থেকে বেড়ে ১৭ শ টাকা, বি আর ২৮- ১৯শত টাকা থেকে ২৩ শ টাকা, বি আর-২৯- ১৬ শ থেকে ১৮ শ টাকা, মিনিকেট ৫০ কেজি বস্তা ২১ শ থেকে ২৩ টাকা, ও দেশি মোটা চাল ( হাইব্রিড) বিক্রি হচ্ছে ১৫ শ টাকা থেকে বর্তমানে বেড়ে দাড়িয়েছে ১৭শ টাকা। এছাড়াও পাইকারী বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা। পাইকারী বাজারে স্বর্না মোটা চাল ৩৩ টাকা বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা কেজি দরে। তবে বাজারে চালের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে বিক্রেতারা ধানের মুল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন। বাজারে চাল কিনতে আসা বাংলাবাজার গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক অহেদ আলী, ছাবেদ, সোহরাব আলী বলেন, বর্তমানে চালের দাম যে ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে সংসার চালানো কঠিক হয়ে পড়েছে। কিন্তুু আমরা কৃষকরা ধান উৎপাদন করে ধানের সঠিক মুল্য পাইনা। কিশোরগঞ্জ বাজারের চাল ব্যাবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, বছরের এ সময়টাতে অটো মিল মালিকরা সিন্ডিকেট করে বাজারে চালের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে । তাই চালের দাম বৃদ্ধি পায়। তাদের সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বৃদ্ধি পেলে তারাই লাভবান হয়। নীলফামারী আজিজুল অটো রাইস মিলের মালিক আজিজুল হক বলেন, বর্তমানে বাজারে প্রতি চল্লিশ কেজি ধানের দাম ৯’শত ৬৫ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা। বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এখানে অটো মিল মালিকদের সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, কিছু দিনের মধ্যেই বাজারে নতুন ধান আসবে। নতুন ধান বাজারে আসলেই চালের দাম কমে যাবে।



মন্তব্য চালু নেই