কিশোরগঞ্জে মোবাইল কোর্টে ০২ কক্ষ পরিদর্শকের জরিমানা আদায়

কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে কেশবা ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা অসৎ উপায় অবলম্বনের দায়ে দুই শিক্ষকের জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

সকালে উপজেলার কেশবা ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে (কেন্দ্র কোড ৩৯৫) ইংরেজী দ্বিতীয় বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালীন বহিরাগত দুইজন শিক্ষকের মাধ্যমে ব্লাক বোর্ডে উত্তর লিখে দেয়া হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার ভূমি উত্তম কুমার রায় কেন্দ্রের পিছন দিক দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে এ অবস্থা দেখতে পেয়ে তাদেরকে কক্ষ থেকে বহিস্কার করে ভ্রাম্যমান আদালতে নেয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শিক্ষক পরীক্ষা কেন্দ্রের এ অবস্থা জানতে পেয়ে প্রশাসনসহ সংবাদ কর্মীদেরকে খবর দেয়। তাৎক্ষণিক ভাবে উপজেলা প্রশাসন ও সংবাদকর্মীরা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঐ কেন্দ্রে পরীক্ষা চলকালীন সময়ে ব্লাক বোর্ডে উত্তর লেখা দেখে কক্ষ পরিদর্শককে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ১৯৮০/১১ ধারা অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ কেশবা ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা ও বড়ভিটা এ ইউ ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।

দন্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান কেন্দ্র সচিব হাবিবুল্লাহ ও হল সুপার জালাল হোসেনের সহযোগিতায় কেন্দ্রের ভিতরে হঠাৎ করে বড়ভিটা এ ইউ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অহিদুল ইসলাম, মাগুড়া দোলাপাড়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী ইংরেজি শিক্ষক সাইদুল ইসলাম পরীক্ষা কেন্দ্রের ওই কক্ষে প্রবেশ করে ব্লাক বোর্ডে উত্তর লিখে দিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব হাবিবুল্লাহ’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, ওই সময় আমি অন লাইনে রিপোর্ট প্রেরণের জন্য অফিসে ছিলাম।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. মেহেদী হ্াসানের সাথে মুটোফোনে কথা বললে তিনি জানান, তথ্য অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই