ডিমলায় প্রতিপক্ষের হুমকীতে দিশেহারা একটি পরিবার
হামিদা আক্তার, নিজস্ব প্রতিবেদক : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় মধ্য ছাতনাই গ্রামের ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামানের পরিবার প্রতিপক্ষের হুমকীতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, উক্ত গ্রামের মোঃ মাহাবুবুল আলমের পুত্র আসাদুজ্জামান একই গ্রামের একরামুল হক সরকারের কাছে গত ৫ জুলাই/১৫ তারিখে দলিল নং-৩২৪৭/১৫, জেএল নং-০৮,খতিয়ান নং-০৭, সাবেক দাগ-৪০৩ ও হাল দাগ নং-৬২৯ মুলে ৩ একর ৬১ শতাংশ জমির মধ্যে ১৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জমিতে বসত বাড়ী তৈরী করে বাকী জমিতে বাশঝাড়, পুকুর ও গাছপালা লাগিয়ে বসবাস করে আসছে। আসাদুজ্জামান বলেন,এই জমি ক্রয়ের পর থেকেই আমাকে ঘর-বাড়ী ভেঙ্গে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকী দিয়ে আসছে এলাকার একটি প্রভাশালী মহল। এ কারনে আমি ডিমলা থানায় দুইটি সাধারন ডায়েরী করেছি। যার জিডি নম্বর-১৩২৪ তাং-২৮ নভেম্বর’১৬ ও জিডি নম্বর-৪৭৮ তাং-১০ ডিসেম্বর’১৬। এরপর থেকে আরও বেশী প্রভাবশালী মহলটি বে-পড়োয়া উঠে। তাদের বুদ্ধি ও শোলা-পরামর্শে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি আমার বসত-বাড়ী ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকী প্রদর্শন করে চলেছে। আজো বধি হুমকী অব্যাহত রেখেছেন উচছৃংখল স্বভাবের লোকজন। ডিমলা থানা জিডির সূত্র ধরে জানা যায়, উক্ত এলাকার মৃত বশির উদ্দিনের ৩ ছেলে প্রভাবশালী খায়রুল ইসলাম ডালিম (৫৫),আমিনুর রহমান প্রামানিক (৬০) ও হামিদুর রহমান প্রামানিক (৬৫) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত ব্যাপারে বিরোধ চলে আসছিল। এরই কারনে আসাদুজ্জামানকে স্ব-পরিবারে উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে প্রতিপক্ষরা। আসাদুজ্জামানের অভিযোগ, যে কোন মূহূর্তে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষরা তার ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে দিয়ে তাদেরকে বসত-বাড়ী ও ভিটে-মাটি ছাড়া করবে মর্মে দুইটি সাধারণ ডায়েরী করেন। কিন্তু তারপরও তার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্গে দিনাতিপাত করেছে। এ ব্যাপারে ডিমলা থানার পুলিশের এসআই খতিবর রহমান ও এসআই নুর আলম পৃথক পৃথক ভাবে বিষয়টির প্রাথমিক তদন্ত করেছেন বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। যে কোন সময়ে, যে কোন ভাবে প্রতিপক্ষের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তের হাত থেকে বাঁচতে অভিযোগকারী অসাদুজ্জামান সংবাদকর্মীদের শরনাপন্ন হয়ে বিষয়টি অবগত করেন। বিষয়টি থেকে পরিত্রানের জন্য আসাদুজ্জামান ও পরিবারের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করে বিচার প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু কে শুনে কার কথা। যে সরিষা দিয়ে ভূত তারাতে যায়, সেই সরিষাতেই ভূত রয়েছে বলেও জানান আসাদুজ্জামান।
মন্তব্য চালু নেই