কিশোরগঞ্জে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী ধনীর দুলালের হাতে অন্তঃসত্তা ॥ দেখার কেউ নেই

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের দক্ষিণ মেলাবর বালাপাড়া গ্রামের সাতারু মামুদের স্কুল পড়–য়া মেয়ে ধর্ষনের স্বীকার হয়ে ৪মাসের অন্তঃসত্তা নিয়ে বেঁচে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের দক্ষিন মেলাবর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সদ্য সমাপ্ত ৫ম শ্রেণীর পরীক্ষা শেষ করেছে ছাত্রী। চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর রাতে মেয়েটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ীর উত্তর পার্শ্বে নদীর তীরে নিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্ঠা করলে মেয়েটির চিৎকারে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মেয়েটি জানান,পার্শ্ববর্তী বাড়ীর ধনীর দুলাল খলিলুর রহমানের ছেলে গোলাম রব্বানী (২১) মাঝে মধ্যে মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে বাড়ীর পিছনে ও বাঁশঝাড়ের মধ্যে কয়েকবার জোড়পূর্বক ধর্ষন করে। মেয়েটিকে উপজেলার এক অপরিচিত বাড়ীতে নিয়েও তাকে ধর্ষন করে এবং ভূয়া বিয়ের কথা বলে। কিন্তু মেয়েটির বাবা দিন মজুর হওয়ায় ও ছেলের বাবা প্রচুর পরিমানে টাকার মালিক হওয়ায় বিষয়টিকে ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্ঠা করছে। স্থাণীয় ইউপি সদস্য বিষয়টি নিয়ে কয়েকদফা শালিস করার চেষ্ঠা করেও তিনি ছেলের বাবার উপস্থিতি না পেয়ে ব্যর্থ হয়েছে। মেয়েটির মধ্যে হঠাৎ করে অন্তঃসত্তার লক্ষণ দেখা দেয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের দেখা দিয়েছে। ইউপি সদস্য মোনাব্বেরুল হোসেন লিটু জানান,বিষয়টি স্থাণীয় ভাবে মীমাংসা করার জন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে শালিসী বৈঠকের বিষয়টির সুরাহা করতে। কিন্তু ছেলের বাবা অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী হওয়ায় ওয়ার্ড সদস্যকে ধরা দিচ্ছে না। মেয়েটির মা বাবা কোনমতে অন্যের বাড়ী ও জমিতে কাজ করে ২টি মেয়েকে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে আসছেন। মেয়েটির এ করুন অবস্থা দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। মেয়েটির মা রোসনা বেগম বলেন,আমার মেয়েকে লোভ দেখিয়ে তার জীবনের ক্ষতি করেছে। সাংবাদিকদের কাছে মেয়েটি জোড় দাবী করে বলেন,আমাকে আপনারা সহযোগীতা করেন। আমার বিচার করার মত কেউ নেই। এ ব্যাপারে বড়ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান জানান,বিষয়টি আমার জানা নেই অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলকাবাসীর দাবী প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করলে মেয়েটির ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং লম্পট

রহমানের মত অন্য ছেলেরাও সাহস পেয়ে যাবে। এলাকাবাসীর দাবী মেয়েটির পাশে সরকারের পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন গুলোকে সাথে থেকে দোষি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা।



মন্তব্য চালু নেই