কিশোরগঞ্জে লিচু চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় লিচু চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে কৃষক। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে লিচুর বাগান, ভাল ফলন ও লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন লিছু চাষিরা। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ নেমে না আসলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আসা পূর্ণ হবে লিচু চাষিদের। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে জেলায় ১৮/২০ ভাগ জমিতে গড়ে উঠেছে লিচুর বাগান। এ অঞ্চলে কয়েক বছর থেকে লিচুর ফলন বেশি হওয়ায় এখন ভূমি মালিকেরা চাষকৃত জমিতে লিচু বাগান করতে ঝুকে পড়েছে। এছাড়া বাড়ির উঠান খোলায় লাগিয়েছে লিচুর গাছ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল ইসলাম জানান লিচু গাছের সময় মত পরিচর্চা করার জন্য সব ধরনের পরামর্শ তারা লিচু চাষিদেরকে দিয়ে যাচ্ছেন। এ উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এবার ভাল ফলনের আশা করে প্রায় ৩০ হেক্টর জমিতে চায়না থ্রি জাতের ৩০টি লিচু বাগান,বেদনা জাতের লিচুর ৪টি বাগান বোম্বেসহ আরো কয়েক জাতের লিচু চাষ করছেন কৃষকরা।উপজেলার সদর ইউনিয়নের যদুমনি এলাকার লিচু চাষি শিল্পী বেগম জানান ১ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে বছরে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা লাভ পাওয়া যায়, কিন্ত ২ বিঘা জমিতে লিচু বাগান তৈরী করলে প্রতিবছর ২লক্ষাধিক টাকারও বেশী লিচু বিক্রি হয়। এজন্য লিচু বাগান করা লাভ জনক হওয়ায় ঐ এলাকায় তার মত অনেকেই লিচু বাগান করার জন্য ঝুঁকে পড়েছে। একই কথা বলেন ঐ এলাকার লিচু চাষি মোঃ রশিদুল ইসলাম ।
কিশোরগঞ্জের লিচু রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে চায়না র্থ্রি,এমপি থ্রি,বেদনা, বোম্বে ও ডায়মন্ড জাতের লিচুর বাগান বেশি হয়েছে। লিচু চাষিরা জানান এইসব জাতের লিচু ফলন বেশি হয় এবং বাজারে এ জাতীয় লিচুর চাহিদা অনেক বেশী থাকায় কৃষকেরা বাগান বেশি করে তৈরী করছে। তারা জানায় যদি কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তারা লিচরু বাগান থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
মন্তব্য চালু নেই