কিশোরগঞ্জে বিবাহ নিবন্ধন ছাড়াই চলছে বাল্য বিবাহ

কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ধাইজান চিড়াতিপাড়ার লেবু মিয়ার নাবালিকা মেয়ে কিশোরগঞ্জ কেশবা সিনিয়র মাদরাসার ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী মোছাঃ লাভলী আক্তারের (১৩) বিবাহ নিবন্ধন ছাড়া স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতায় বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে,বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য যখন উপজেলা প্রশাসন মরিয়া হয়ে উঠেছে ঠিক সে সময়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কিছু কু-চক্রি মহল বাল্য বিবাহের কাজে নেপথ্যে সহযোগীতা করে আসছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যখন সরকারী ভাবে অনুমোদিত বিবাহ ও তালাক নিবন্ধনে নিয়োগ প্রাপ্ত কাজীদেরকে বাল্য বিবাহ নিবন্ধন করার অপরাধে সাজা দেয়ার বিষয়ে সচেতন করা হয়,ঠিক সে সময়ে একটি কুচক্রি মহল মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে বিবাহ নিবন্ধন ছাড়াই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করছে। আর এসব বিয়ের পিছনে স্থানীয় প্রশাসনের জনপ্রতিনিধিরা নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

স্থানীয় প্রশাসনের জনপ্রতিনিধিরা জেনেও না জানার ভান করে এসব বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে এলাকায় সচেতন মানুষ বাল্য বিবাহ রোধে প্রশাসনকে দায়ী করছে। আবার অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে যেখানে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বাল্য বিবাহ দেয়া যায় সেখানে উপজেলা প্রশাসন বাল্য বিবাহ রোধ করবে কি করে। আবার কিছু কিছু এলাকায় বাল্য বিবাহ দেয়ার জন্য ইউনিয়ন তথ্য সেবা থেকে জন্ম নিবন্ধন না পাওয়ায় আবার অনেকে স্থানীয় কম্পিউটার কম্পোজের দোকান থেকে ভূয়া জন্ম সনদ দিয়ে অল্প বয়সের ছেলে মেয়েদের প্রাপ্ত বয়স দিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করছেন। আর এসব বাল্য বিয়ের কারণে মেয়েরা অল্প বয়সে মা হওয়ার ফলে দেশে মৃত্যুর হার বেশী হয়েছে। যারা অনেক কষ্টে মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য অল্প বয়সে বিয়ের আয়োজন করে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ হচ্ছে সেই সমস্ত পরিবারের দাবী তাহলে প্রতিবেশী অল্প বয়সের মেয়ের বিয়ে হলে প্রশাসন সেখানে আইন প্রয়োগ করছে না কেন?

এ বিষয়ে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য রাজু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান লেবুর মেয়ের বিবাহ নিবন্ধন ছাড়াই বিয়ে হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।

এ বিষয়ে গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিপ্লব কুমার দিপু বাবুর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি বিয়ের ব্যাপারে কিছু জানিনা এবং ওয়ার্ড সদস্য আমাকে কিছু জানায়নি। বিবাহ রেজিষ্টার ছাড়া কোন মৌলবী বিয়ে পড়িয়েছে তার ব্যাপারে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে আমি অবহিত করবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান এ বিষয়ে আমি একজনকে দায়িত্ব দিয়েছি।



মন্তব্য চালু নেই