সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলা : ডিমলা উপজেলা জুড়ে আলোচনার ঝড়
হামিদা আক্তার, নীলফামারী থেকে : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের মামলা ঘটনায় সমগ্র উপজেলায় আলোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় ডিমলা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডিমলা সদর ইউনিয়নের মৃত নুরল ইসলামের পুত্র দৈনিক মাতৃজগত ও অনলাইন গ্রামবাংলা নিউজ এর ডিমলা প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহেদুল ইসলাম বাদী হয়ে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ডিমলা প্রতিনিধি ও অনলাইন জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি মৃত এসারত আলী এর পুত্র সাংবাদিক জাহেদুল ইসলাম জাহিদ এর বিরুদ্ধে থানায় ৩৪১/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ (০২) /১১৪ দন্ড বিধি ধারায় মামলা দায়ের করে। ডিমলা থানার মামলা নম্বর-০৪/১৭ তাং- ০৩ মে’১৭ ইং। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে-উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের গয়াবাড়ী গ্রামের সোহরাব আলীর পুত্র আনোয়ার হোসেন (৩৮) ও এমাজ উদ্দিনের পুত্র সামসুদ্দিন (৩২) মতিরবাজারের পশ্চিম দিকে কুমলাই নদীতে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন করছিলো। এ সংবাদ পেয়ে গত ২৮ এপ্রিল/১৭ তারিখে দুপুরে মামলার বাদী সাংবাদিক জাহেদুল ইসলাম ও দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি সাংবাদিক আব্দুল কদ্দুস ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার ছবি ক্যামেরায় বন্দি করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ মামলার বাদী সাংবাদিক জাহেদুলের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপি লাঞ্চিত করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়ে ফিরে এসে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে ডিমলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে সাংবাদিক জাহেদুল ইসলাম। প্রেক্ষিতে আকর্ষিকভাবে যুগান্তর পত্রিকার ডিমলা প্রতিনিধি জাহেদুল ইসলাম থানায় অভিযোগ করে মাতৃজগত পত্রিকার সাংবাদিক জাহেদুল যুগান্তর প্রতিনিধি’র নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গা চাঁদাদাবী করে আসছিলো। ২৮ মে/১৭ তারিখে ঘটনাস্থলে একই কায়দায় জনৈক্য আনোয়ার হোসেনের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করে মর্মে যুগান্তরের প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহেদুল ইসলাম জাহিদ অপর জাহেদুলের নামে অভিযোগ দায়ের করে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ দু’টি অভিযোগেই তদন্ত করেন। থানা পুলিশের প্রকাশ্যে ও গোপন তদন্তে যুগান্তর প্রতিনিধি জাহিদ’র অভিযোগটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় পুলিশ হয়রানী ও মিথ্যা অভিযোগ মর্মে থানায় একটি সারারণ ডায়েরী রুজ্জু করা হয়। অপরদিকে মাতৃজগত পত্রিকার সাংবাদিক জাহেদুল ইসলামের অভিযোগটি সত্যতা থাকায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজ্জু করা হয়েছে থানায়। এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, বাদীর অভিযোগের সত্যতা থাকায় অভিযোগটি নথিভূক্ত করা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই