ফাইলেরিয়াসিস নিমূর্লে মরবিডিটি কন্ট্রোল বিষয়ক প্রশিক্ষণ
হামিদা আক্তার : ফাইলেরিয়াসিস একটি মশা বাহিত সংক্রামক ব্যাধি। বিভিন্ন ধরনের ফাইলেরিয়াল প্যারাসাইট বা পরজীবি শরীরে প্রবেশ করলে এ রোগের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের পরজীবি একজন রোগী হতে আরেকজন সুস্থ লোকের শরীরে কয়েক প্রজাতির স্ত্রী জাতীয় মশার কামড়ে সংক্রামিত হয়। ২৫ জানুয়ারী বুধবার সকাল থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্ল্ক্সে হল রুমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহযোগীতায় ও ফাইলেরিয়াসিস নিমূর্ল ও কৃমি নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম, রোগ নিয়ন্ত্রক শাখা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঢাকা এর আয়োজনে ০১ দিনের প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জেড এ সিদ্দিকী কর্মশালার শুভ উদ্ধোধন ঘোষনা করেন। প্রশিক্ষনে প্রশিক্ষক ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ হাসান, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট শাহেদুর রহমান,কো-প্রশিক্ষক সিএস অফিস, নীলফমারীর সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাদের প্রমূখ। প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য পরিদর্শক (ইনচার্জ) মোঃ লোকমান হোসেন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকবৃন্দ, স্বাস্থ্য সহকারী ও সিএইচসিপিসহ প্রায় অর্ধশতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী। থিওরিক্যাল প্রশিক্ষন শেষে উপজেলার ১১ জন ফাইলেরিয়াসিস (গোদ) আক্রান্ত রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে তাৎক্ষনিক স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রাকটিক্যাল প্রশিক্ষনে অংশগ্রহন করানো হয়। এ সময় উক্ত প্রাকটিক্যাল সেশনে নীলফামারী জেলার সিভিল সার্জন মোঃ আব্দুর রশিদ উপস্থিত থেকে এসব ফাইলেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের হাতে এ রোগের পরিচর্চায় একটি কীটবক্স ও ২’শ টাকা আক্রান্ত রোগীদের হাতে তুলে দেন। এ সময় তিনি এ রোগ হলে স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকার কথা কর্মীদের কাছে মনোযোগ দিয়ে শুনেন। প্রাকটিক্যাল সেশনে তিনি তাৎক্ষনিক অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আপনাদের (স্বাস্থ্যকর্মী) মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে সেবার মনোভাব নিয়েই। মনে রাখতে হবে আমরা এ জন্যই নিয়োজিত রয়েছি। আন্তরিকতার মধ্যে দিয়ে কাজ করে গেলে এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা যেমন আছে তেমনিই থাকবে। রোগটি আর বাড়তে পারবে না। এ জন্য আপনাদের সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখতে হবে। তবে আমরা নীলফামারীকে ফাইলেরিয়া মুক্ত ঘোষনা করেছি। এখন যেসব রোগী রয়েছে এরা সবাই অনেক আগেই আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তবে এ জেলায় নতুন করে এ রোগে আক্তান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তিনি আরো বলেন, বিশ্বের ৭৩টিরও বেশী দেশে এ রোগ (গোদ) বিদ্যমান।বাংলদেশের ৩৪টি জেলায় এ রোগ রয়েছে। তবে এদের মধ্যে ১৯টি জেলায় এ রোগের প্রকোপ বেশী। অপুষ্টি, দারিদ্রতা, সামাজিক অবস্থান, কু-সংস্কার, অশিক্ষা, বসতবাড়ীর নোংরা পরিবেশ, ঘন বসতি, স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব ইত্যাদি এ রোগ সংক্রমনের জন্য দায়ী।
মন্তব্য চালু নেই