বিজয় দিবসে যোগ দেননি শিক্ষা কর্মকর্তা : সর্বস্তরে সমালোচনার ঝড়

হামিদা আক্তার, নিজস্ব প্রতিনিধি : এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলবো না। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। মহান বিজয় দিবসে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বে ৭১’র রনাঙ্গনে দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। ফলে ্এদেশের মানুষ নানা কর্মসুচীর মধ্যে দিয়ে বীর সন্তানদের স্বরণ করে বিজয় দিবসে। কিন্তু এর পুরো ব্যতিক্রম ঘটনাই ঘটলো এবারের বিজয় দিবসে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায়। মহান বিজয় দিবসকে ঘিরে যখন উপজেলা প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ খুশির জোয়ারে ভাসছিল ঠিক তখনই এই বিজয় দিবসের সকল কর্মকান্ড থেকে দুরে সরে গিয়ে বিজয় দিবস উৎযাপনে অনীহা প্রকাশ করেন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম। এ কারনে তিনি বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর থেকে শুরু করে দিবসটির সমস্ত কর্মসূচী থেকে দুরে সরে থাকেন বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার সূত্র ধরে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, উক্ত শিক্ষা কর্তকর্তা বরাবরেই এসব দিবস মনে প্রানে প্রত্যাক্ষান করতেন। কিন্তু সামাজিকতার কারনেই তিনি মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে এসব দিবসে তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলে ও দায়সারাভাবে থাকতেন। এমনটাই জানালেন নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মচারী। তিনি আরো জানান, এবারের বিজয় দিবসে যখন উপজেলা প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষ শহীদদের স্বরনে দিবসটির প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি অম্লানে অপেক্ষমান ঠিক তখনই লক্ষ্য করা যায় ঐ শিক্ষা কর্মকর্তা অনুপস্থিত। তিনি বিজয় দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভায় যোগ দেননি বলেও একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়। এমনকি শিক্ষা বিভাগের রির্সোস সেন্টারে ইন্সট্রাক্টরসহ উক্ত বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুপস্থিত থাকেন। এমনকি পরের দিন বিজয় দিবসে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে শিক্ষা বিভাগের কেহই উপস্থিত ছিলো না বলেও দাবী করেন উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। কেহ কেহ বলছেন ঐ কর্মকর্তা হয়ত জামায়াত পন্থী তাই এসব অনুষ্ঠান মেনে নিতে পারেন না। উক্ত কর্মকর্তার বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গিয়ে থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়ে। সুত্র ধরে জানা যায়, তিনি শিক্ষা বিভাগটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম দুনীতির খবর প্রকাশিত হলে তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান কিংবা অভিযুক্ত শিক্ষককে ডেকে এনে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে সবকিছু আমি দেখবো ”এই কথাই” বলেন তিনি। পরবর্তী ঐ শিক্ষককে বহাল তবিয়তে রেখে যা যা রিপোর্ট করার দরকার সবেই তিনি করেন। এ ব্যাপারে শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,আমি বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ছিলাম এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছিলাম তবে দর্শকের সারীতে। তাহলে আপনাকে কেন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে দেখা গেল না উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের ইনডিভিজুয়ালী সকলের থাকার দরকার হয় না। উপজেলা প্রশাসনের আওতাধীন আমরা,তাই শহীদ মিনারে মালা দেওয়া হয় উপজেলা প্রশাসন থেকে। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সকল অনিয়ম-দুর্নীতির কথা অস্বীকার করেন।



মন্তব্য চালু নেই