৩২০০ শ্রমিকের প্রশ্ন
এভাবে আর কত দিন?
মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবীতে ২০ দলীয় ঐক্য জোটের ডাকা অবরোধ-হরতালে নীলফামারীর অর্থনীতি যেমন বিপর্যস্ত তেমনি অবরোধ-হরতালের দেড় মাসে নীলফামারী জেলার প্রায় ৩২০০ মোটর শ্রমিক অনাহারে-অর্ধাহারে পুরোপুরি বিপর্যস্ত ।
অবরোধ-হরতালে শ্রমিকদের জীবনের বাস্তবচিত্র সরেজমিনে দেখতে নীলফামারী বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে বসে শ্রমিকদের সাথে কথা হচ্ছিল অামাদের এই প্রতিনিধির ।
সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে অাজ তারা জানতে চান এই অমানবিক হরতাল-অবরোধ কবে শেষ হবে!
তারা প্রশ্ন করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে অামরা কেন বলির পাঠা হবো! কেন তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সবসময় অামাদের অায়-রোজগারের একমাত্র মাধ্যম যানবাহনে ভাংচুর করা হবে! ককটেল মারা হবে! পেট্রোল বোমা মেরে অামাদের হত্যা করা হবে!
শ্রমিকদের সাথে অালাপের একপর্যায়ে নীলফামারী বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাঃ সম্পাদক মোঃ অালতাফ হোসেন জানান, নীলফামারীতে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সর্বমোট ১৮টি রুটে প্রতিদিন ১৫০ বাস-মিনিবাস চলাচল করে ।
কিন্তু রাজনৈতিক দলসৃষ্ট সহিংসতার কারণে বর্তমানে প্রতিদিন মাত্র ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি চলাচল করছে ।
তিনি জানান,যেসব গাড়ি অাজ চলছে সেসব গাড়ি অগিামীকাল চলবে না,অাগামীকাল অন্য (২০ টি) গাড়ি চলবে । কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাকি গাড়িগুলোকেও চলতে দিতে হবে ।
এভাবে পালাক্রমে গাড়িগুলোকে বসিয়ে রেখে অামাদের শিডিউল ভাগ করে দিতে হচ্ছে । ফলে যেখানে একদিনের রোজগারে একদিন চলাই যায় না সেখানে শ্রমিকদের একদিনের রোজগার দিয়ে তিন-চারদিন খেতে হচ্ছে ।
তাছাড়া সহিংসতার কারণে যাত্রীসংখ্যা খুবই কম, অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় কোন কোন গাড়ির তেলের অাসল টাকাটাও ওঠে না ।
অাবার অামাদের শ্রমিক সাহায্য ফান্ড থেকে অসুস্থ/মুমূর্ষ শ্রমিকদের চিকিৎসার্থে সাহায্য প্রদান করা হয় ।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনভাবেই সাহায্য প্রদান সম্ভব হচ্ছে না, যে কারণে অর্থাভাবে অনেকের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে ।
তিনি অাকুতির সুরে জানান, এভাবে অামাদের জীবন চলে বলেন!
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অামাদের নিঃশেষ করবেন না, অামরা হরতাল- অবরোধ চাই না,অামরা খেয়ে-পড়ে বাচতে চাই ।
মন্তব্য চালু নেই