নীলফামারীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ

নীলফামারীর পল্লীতে নবম শ্রেণির এক মাদ্রাসার ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। তিন বখাটে তাকে একটি ভুট্টা খেতে পাল্লাক্রমে ধর্ষণের পর পালিয়ে যায়। ওই ছাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের টোটুয়াপাড়া গ্রামের ভটভটিচালক মহির আলীর মেয়ে। মেয়েটি কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর ইউছুফিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। সে কৈমারী ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের নানা মনছুর আলীর বাড়ি থেকেই লেখাপড়া করতো।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি জানায়, বুধবার বিকেলে মাদ্রাসা ছুটির পর নানার বাড়ি ফেরার পথে দেখা হয় পূর্ব পরিচিত মারুকুন ইসলাম (৩০) নামের এক পিকআপ চালকের সঙ্গে। বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার নাম করে পিকআপে তুলে নেয় মেয়েটিকে। পিকআপে থাকা আরো দুই যুবক মিলে মেয়েটিকে অবিলের বাজারের অদূরে এক ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, এক ফেরিওয়ালা বিষয়টি দেখতে পেয়ে গ্রামের মানুষকে জানালে তারা আমার বাড়িতে খবর দেয়। পরিবারের লোকজন ছুটে এসে ভুট্টা ক্ষেত থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে সন্ধ্যায় তাকে ভর্তি করানো হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার কানিজ সাবিহা রাত ১০টায় জানান, মেয়েটির প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলে রক্ত দেয়া হয়েছে, এখনো রক্তক্ষরণ হচ্ছে। মেয়েটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় অপারেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জলঢাকার কৈমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কহিনুরুজ্জামান লিটন জানায়, ঘটনাটি আমি লোকমুখে শোনার পর মেয়েটির বাবা মহির উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেছি।

কিশোরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির পরিবারের পক্ষে মামলা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই