ধানের বাম্পার ফলন হলেও বাজারে মূল্যকম ॥ লোকসান গুনছেন কৃষকরা

অন্যান্য বছরের তুলনায় রোগবালাই-পোকার আক্রমন ও সময় উপযোগী সেচ না থাকায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে কৃষকেরা জানিয়েছেন। কিন্তু কৃষকের অভিযোগ বাম্পার ফলন হয়ে লাভ কি? বাজারে ধানের মূল্য অনেক কম, চাষাবাদ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে বিঘা প্রতি দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। উপজেলার অনেক কৃষক জানান প্রতি বিঘা জমিতে ধান চাষ করে সবমিলে খরচ হচ্ছে ৬থেকে ৭হাজার টাকা আর এক বিঘা জমির ধান বিক্রি করে কৃষকরা মূল্য পাচ্ছে ৫থেকে ৬ হাজার টাকা।

যে হারে ধানের মূল্য হ্রাস পাচ্ছে পরবর্তী সময়ে উপজেলার কৃষকরা ধান চাষাবাদ করা ছেড়ে দিবেন বলে কপাল চাপড়িয়ে জানিয়েছেন। এছাড়াও অনেক প্রান্তিক কৃষক রয়েছেন যারা অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ধান চাষাবাদ করেছেন তাদের অবস্থা আরো নাজেহাল ,মাথায় পড়েছে তাদের হাত,ফলে ঋণগ্রস্থ ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম সংবাদদাতাকে জানান এবারে কিশোরগঞ্জ উপজেলার বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০হাজার ৭ শত ৫হেক্টর জমি এছাড়া অন্যান্য উপজেলার তুলনায় এই উপজেলায় রোগবালাই আশঙ্কা অনেক কম দেখা গেছে।

বর্তমানে নিত্য প্রযোজনীয় দ্রব্যের মূল্য যে হারে বেড়েই চলেছে তাতে এক মণ ধান বিক্রি করে হচ্ছে না এক কেজি মাংস। এদিকে এক শ্রেনীর কৃষক ধান চাষাবাদ করার সময় দাদন ব্যবসায়ী কিংবা ব্যাংক থেকে ঋন নিয়েছেন ধান উঠিয়ে বিক্রি করে ঋন পরিশোধ করবে,কিন্তু ধানের মূল্য কম হওয়ায় ধান বিক্রি করেও পরিশোধ হচ্ছে না তাদের ঋন। তাই ভাল ফলন হওয়ার পরেও ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে থাকতে হচ্ছে কৃষকদের।



মন্তব্য চালু নেই