ডিমলায় গৃহবধুঁর লাশ দাফনে ভয় পাচ্ছে এলাকাবাসী : ৩৬ ঘন্টা অতিবাহিত
হামিদা আক্তার, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পল্লীতে সদর ইউনিয়নের নটাবাড়ী গ্রামে জনৈক্য আজিজুল ইসলামের স্ত্রী গৃহবধুর মৃর্ত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকার একটি কু-চক্রী মহল ধুম্রজাল সৃষ্টি করায় গৃহবধুঁর মৃত দেহ (লাশ) দাফন করতে পারছে না তার পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, গত শুক্রবার সকাল ৭ টায় ঐ গৃহবধু গোলেনুর বেগম (৪৮) স্বাভাবিক মৃৃত্যু বরন করে। ঘটনানার বিবরণে জানা যায়, মৃত গৃহবধুঁর বাড়ীর সাথে একটি ধানের আঠি বেঁেধ পুজ দেওয়ার সময় একটি আম গাছের একটি ডাল কেটে ফেলেন প্রতিবেশী কাছু মামুদের পুত্র নুর আমিন (৪০)। এ ঘটনায় ঐ গৃহ বধুঁ ও তার ছেলে সবুজ’র সাথে নুর আমিনের কথাকাটাবাটি হয়। এ সময় তাদের উভয়ের মধ্যে কোন রকম হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি বলে এলাকাবাসী জানান। এ ঘটনার পরেই সকাল ৮ টার দিকে গৃহবধুঁর স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল অথার্ৎ মৃত গৃহবধুর বাড়ীতে গিয়ে তার সন্তান সবুজ (২৫) এর কথা হলে তিনি স্পষ্ট করে সংবাদকর্মীদের জানান, আমার মায়ের স্বাভাবিক মর্ত্যৃ ঘটে। কিন্তু আমার বাবা শ্রমিকের কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় মায়ের দাফন করা সম্ভব হয়নি। বাবা আজিজুল ইসলাম মায়ের মৃত্যুর খবরে শুক্রবার দিনগত রাত ৩ টায় বাড়ী ফিরেন। এরই মধ্যে একটি কু-চক্রী মহল ঝগড়া বিবাদের কারনেই মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচারণা চালান। এরপর থেকেই এলাকাবাসী মায়ের দাফন কাজে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছে। ফলে মায়ের দাফন করা সম্ভব হয়নি। গৃহবধুঁর মৃত্যুর প্রায় ৩২ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ায় নটাবাড়ী গ্রামে সংবাদ কর্মীরা পরের দিন শনিবার বিকালে ঘটনাস্থল গিয়ে বিভিন্ন জনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, আসলে গৃহবধুরঁ স্বাভাবিক মৃর্ত্যু হয়। কিন্তু স্থানীয় একটি প্রভাবশালী কু-চক্রী মহল ভিলেজ পলিটিক্স এর কারনে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে লাশ দাফনে নুর আমিনকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে মর্মে মহলটি জানিয়ে দেন। কিন্তুৃ নুর আমিন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ঐ মহলটি লাশ দাফনে তালবাহানা শুরু করে। এরপর থেকেই মৃত গৃহবধুর স্বামী আজিজুল ইসলামকে নিয়ে শুরু হয় ভিলেজ পলিটিক্স। এ ঘটনায় মোটা অংকের টাকা নুর আমিনের কাছ থেকে নিয়ে দেওয়া হবে মর্মে তাকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাপ করতে থাকে। অথচ মৃত গৃহবধুঁর পেটের সন্তান সবুজ সংবাদকর্মীদের সাফ জানিয়ে দেয় আমার মায়ের মৃত্যুর ব্যাপারে কেহই দায়ী নয়। আমার মায়ের স্বাভাবিক মৃর্ত্যু হয়েছে। অন্যদিকে মৃত গৃহবধুর স্বামী আজিজুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সকলে বলছে আমাকে একটি অভিযোগ দিতে। আমি কি করবো বলেন ? এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধা ৭ টা ) গৃহবধুর লাশ দাফন সম্পন্ন হয়নি। তবে এলাকাবাসীর একজন প্রতিবেদককে জানান সন্ধায় মাইকিং করা হয়েছে গৃহবধুঁর লাশ দাফন করা হবে। তবে শুনেছি নুর আমিন ঐ দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা দিতে স্বীকার করেছে এলাকার প্রভাবশালী মহলটির চাপে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ল্শা দাফনের প্রস্তুতি চলছে। উল্লেখ্য, গৃহবধুর দুই স্বামী পূর্বের স্বামীর ৪ সন্তান ও পরের অর্থাৎ বর্তমান স্বামীর সংসারে ৪ সন্তানসহ আত্বীয় স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে স্বাভাবিক মৃর্ত্যু বরণ করেন।
মন্তব্য চালু নেই