ডিমলার ইউপি সদস্য মাদার তেরেসা পদক পেয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন
হামিদা আক্তার বারী, ডিমলা (নীলফামারী) থেকে : ইউনাইটেড মুভমেন্ট হিউম্যান রাইটস এর জরিপে মাদার তেরেসা সম্মাননা পদক/১৫ প্রাপ্ত হয়ে অনন্য দৃষ্টাস্ত স্থাপন করেছেন ইউপি সদস্য মাজেদুর রহমান দুলু। সাধারণ মানুুষের পাঁশে থেকে নিজের অজান্তেই মাদার তেরেসা আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে এলকায় গৌরবোজ্জল ভূমিকা রেখে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থ্পান করে চলেছেন সম্মানে ভূষিত দুলু মেম্বার। তিনি নীলফমারী জেলার ডিমলা উপজেলার ৪নং খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হয়ে জন সেবার কাজে নিয়োজিত হন। তিনি উক্ত ইউনিয়নের বন্দরখড়িবাড়ী সরকারপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের পুত্র। মা মর্জিনা খাতুন। মা-বাবার সংসারে চার ভাই ও তিন বোনের মাঝে বেড়ে উঠেছেন এই সমাজ সেবক মাজেদুর রহমান ওরফে দুলু মেম্বার। দুষ্ট ছেলে দুলু হাঁটি-হাঁটি পাঁ-পাঁ করে ছোট বেলা থেকেই বড় হতে থাকেন বাবার মধ্য আয়ের সংসারে। কৃষিকাজে নিয়োজিত থেকে কোন রকম সংসার চালিয়ে যেতেন বাবা। এরই ফাঁকে বেড়ে ওঠে দুরন্তপনা শিশু দুলু। প্রতিবেশীরা জানায়,ছোট বেলা থেকেই মানুষের দুঃখ-কষ্ট দেখতে পেতেন না দুলু। প্রতিবেশীর কারো কিছু হলেই ছুটে যেতেন তিনি। এরপর শিশু কিশোর জীবন অতিবাহিত করে যৌবনে পাড়ি দিয়েই বিয়ে করেন জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটিতে। বিয়ের পরেই তিনি ছ’মিলের ব্যবসায় মনোযোগ দিয়ে সংসার জীবন অতিবাহতি করতে থাকেন। পাশাপাশি মানুষের পাশে থেকে সমাজ সেবা কাজগুলি চালিয়ে যান। ব্যবসায়ী জীবনে সততার দৃষ্টান্ত রেখেই ব্যাবসায়ী কাজ চালিয়েছেন তিনি। বৈবাহিক জীবনে এক ছেলে দুই মেয়ে ও স্ত্রী মেরিনা বেগমের সাথে সংসার জীবন অতিবাহিত করছেন। এরই মধ্যে আসে ইউপি নির্বাচন। মানবসেবা ও সেচ্ছাব্রতী দুঃখী মানুষের কান্ডারী অসহায় মানুষের বন্ধু দুলু ভাই ইতি মধ্যেই এলাকায় সাড়া ফেলেছেন মানব দরদি হিসেবে। তাই এলাকাবাসী একরকম জোর করেই দাড় করিয়ে দেন ইউপি নির্বাচনে। বাবার আর্থিক অসচ্ছলতার কারনেই তিনি দাঁড়িয়ে পড়েন ইউপি’র সদস্য পদপ্রার্থী হয়ে। কারন তিনি মনে করেন মানুষের পাঁশে দাঁড়াতে চাইলে কিংবা মানুষের সেবা করতে চাইলে বড় কিছুর দরকার হয় না। আত্মবিশ্বাসী মানুষ যে কোন প্লাটফর্মে থেকেও কাজ করতে পারেন । তিনি মনে করেন সেচ্ছাব্রতী মানসিকতা হলেই কেবল মানুষের পাঁশে দাঁড়ানো যায়। অবশেষে ২৪ জুলাই ২০১১ সালে ভোট হলো। বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে ফিরে এলেন ইউপি সদস্য দুল ভাই। দুলু ভাই হয়ে গেলেন দুলু মেম্বার। তার অনন্য মানব সেবার খবর সকলেই জানেন। প্রায় ৫ বছর ধরে দায়িত্বে থাকা দুলু মেম্বার সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গেছেন একেবারেই। কোন কিছুতেই তিনি অর্থকে বড় করে দেখেন না। তিনি মনে করেন ভালো কিছু করার জন্য অর্থ কোন প্রতিবন্ধতকতা নয়। তাছাড়া অর্থই অনর্থের মূল। দায়িত্বে থাকা দুলু মেম্বার জনগণের মাঝে ইউপির বরাদ্দকৃত সব কিছুই দিয়েছেন একবারেই বিনামূল্যে। ফলে দ্বিগুন হারে জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। বর্তমান সময়ে যেখানে সততা বা সৎ মানুষ খুঁজে পাওয়াই ভার, সে সময়েও তিনি নজির বিহীন ভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। স্থান করে নিয়েছেন সাদা মনের মানুষের তালিকায়। দীর্ঘ এক বছর জরিপ চালিয়ে বে-সরকারী সংস্থা ইউনাইটেড মুভমেন্ট হিউম্যান রাইটস এর জরিপে উঠে আসেন দুলু মেম্বার। পেয়ে যান মাদার তেরেসা সম্মাননা পদক/১৫। ডাক আসে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী ঢাকার সেগুন বাগিচা চাইনিছ রেস্টেুরেন্ট। সেখানেই দেয়া হবে দুলু মেম্বারে মত মানব দরদী সেচ্ছাব্রতী মানুষগুলো সম্মাননা। তালিকায় উঠে আসে সারা দেশের আরে ৭৫ জন মানবসেবী জনপ্রতিনধি। হাতে তুলে দেয়া হয় এ সম্মাননা পদক। সম্মাননা পদকে ভূষিত হয়ে দুলু মেম্বার অনুভুতিতে বলেন,এ সম্মান ও পুরস্কার আমার নয়। এটা আমার এলাকাবাসীর। যাদের ভালোবাসায় আমি কৃতজ্ঞ। যারা আমাকে ভালোবেসে পাইয়ে দিয়েছে এ সম্মান। আজ তাদেরই উদ্দেশ্যে আমি উৎসর্গ করে দিলাম। মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে মাজেদুর রহমান দুলু বলেন , যদি এলাকাবাসী মনে করেন আগামীতেও আমি নির্বাচনে এসে তাদের সেবা করি তাহলে নির্বাচন করতে চাই। তবে এটা নির্ভর করবে এলাকাবসী ইচ্ছার উপর।
মন্তব্য চালু নেই