জাতীয় পতাকা হাতে কিশোর তৈয়ব আলীর কিছু কথা

হামিদা আক্তার, নিজস্ব প্রতিবেদক : ছেলেটি নাম তৈয়ব আলী বয়স কি হবে ১৫ কিংবা ১৬। শিশুকাল পেরিয়ে কৈশোর বয়সে বাবা-মায়ের সংসারের হাল ধরে এখন জাতীয় পতাকা বিক্রি করছে। ডিসম্বের মাস আসলেই দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে ছুটে চলে হাতে দেশের লাল সবুজের পতাকা সাথে বিজয় দিবসের বিভিন্ন ফেস্টুন। গত ৯ ডিসেম্বর দেখা মিলে ছেলেটির নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সদরে। দেশের জাতীয় পতাকা ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে ঘুরে ফেরছে। কথা হয় ছেলেটির সাথে।

সে জানায়, আমরা ৫০ জন একই এলাকা থেকে এসেছি এ অঞ্চলে। রংপুর বিভাগের জেলা উপজেলায় আমরা ছুটে চলেছি জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে। কেন জাতীয় পতাকা নিয়ে ছুটে চলা ? বলতেই উত্তরে ছেলেটি বলে আমরা প্রতি বছরের (মার্চ ও ডিসেম্বর) এই দুই মাসেই জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে অরেক প্রান্ত ছুটে যাই। বাকী সময় অন্য অন ্যকাজ করি। কিন্তু সব চাইতে পতাকা বিক্রি করে খুবই আনন্দ পাই। সবাই খুশি মনে পতাকা কিনে খুশি মনেই টাকা দিয়ে দেয়। লাভ হয় ভালো।

ছেলেটির পিতা এসকান্দার আলী দিন মুজুর। ফুলসুদি (কাউয়া খোলা) গ্রামের নাগর কান্দা উপজেলার ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা কিশোর তৈয়ব আলী। তিন ভাই তিন বোন তৈয়ব আলীর। ভাইদের মধ্যে সে বড়। তাই বাবার জীবন সংসারের ভারটা তাকেই বহন করতে হচ্ছে। জীবিকার তাগিতে ছুটে চলেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। এরপরও খুশি তৈয়ব আলী, জাতীয় পতাকা ও বিজয় ফেষ্টুন বিক্রি করে। এবারে শহরের দোকানে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা বেশি জাতীয় পতাকা ক্রয় করছেন বলেও তৈয়ব এ প্রতিবেদককে জানায়।



মন্তব্য চালু নেই