কিশোরগঞ্জে পিতাকে হত্যার দায়ে পুত্র গ্রেফতার

পারিবারিক কলহে পিতা তৌহদ্দী মিয়া(৬৫) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে এক মাত্র পুত্র আমিনুল ইসলাম(৩০)। শনিবার নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটির জয়নুন কোটপাড়া গ্রামের এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে হত্যাকারী পুত্র তার পিতার লাশ ঘরের ভেতর গর্ত করে পুতে ফেলার চেষ্টা চালায়। এলাকাবাসী টের পেয়ে তাকে আটক করে পুলিশ কে খবর দেয়। সকাল ১০টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে লাশ উদ্ধার ও হত্যাকারী পুত্র আমিনুল ইসলাম কে আটক করে।

জানা যায় হত্যার শিকার কৃষক তৌহদ্দী মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দুই বছর আগে মারা যায়। তাদের ৪ মেয়ে ১ ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় তারা স্বামী বাড়িতে ঘর সংসার করছে। আর উত্তর দুরাকুটির জয়নুন কোটপাড়া গ্রামের বাড়িতে পিতা পুত্র ও পুত্রবধু গোলাপী বসবাস করে আসছে।
এলাকাবাসী জানায় পিতা পুত্র দুইজনই কৃষক। নিজেদের সামান্য জমি আবাদ করে সংসার চালায়। কিন্তু পুত্র আমিনুলের স্ত্রী শ্বশুড় তৌহদ্দী মিয়াকে পৃথক করে দেয়ার জন্য স্বামীকে চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হলে গত দুই দিন আগে গোলাপী তার এক মাত্র পুত্র সন্তান গোলাপ কে নিয়ে একই উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ভেরভেরি গ্রামের পিতার বাড়ি চলে যায়। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর পিতা পুত্রের মধ্যে এ নিয়ে চরম বিবাদের সৃষ্টি হয়। যা এলাকাবাসী প্রত্যক্ষ করে।

এলাকাবাসীর ধারনা ওই বিবাদের সুত্র ধরে শুক্রবার রাতের কোন এক সময় আমিনুল ইসলাম ঘুমিয়ে থাকা তার পিতাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। এরপর সে শোয়ার ঘরে খাল খুঁড়ে তার পিতার লাশ গোপনে মাটিচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে তাকে আটক করে পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ এসে আমিনুল ইসলাম কে আটক এবং লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে আটক আমিনুল ইসলামের সাথে পুলিশ ও সাংবাদিকরা ঘটনা জানতে চাইলে সে বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানায়।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন লাশের গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত রয়েছে।# সাথে ছবি আছে



মন্তব্য চালু নেই