কিশোরগঞ্জে দূর্গাপুজা তৈরীর কাজ সম্পন্ন ॥ সোমবার থেকে পূজা শুরু
কিশোরগঞ্জ উপজেলার ১৩৯ টি পুজা মন্ডপের দূর্গার রংতুলির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে সকল মন্ডপে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন রংয়ের বাতি দিয়ে। কিছু কিছু মন্ডপের প্রায় ২০০গজ দুর থেকে রাস্তার উপরে ও রাস্তার দু’পাশ দিয়ে সুন্দর সুন্দর সামিয়ানা সাটানো হয়েছে। বিভিন্ন রঙ্গের আলোক সজ্জা দিয়ে পুরো মন্ডপ এলাকায় আলোকিত করা হয়েছে। শুধু অপেক্ষা কিছু সময়ের জন্য। উপজেলার ১৩৯টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ২৯টি পূজা মন্ডপকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ইতঃপূর্বে পূজা উৎসবের জন্য সকল মন্ডপে সরকারী ভাবে সাহায্য পৌছে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। নির্বিঘেœ দূর্গা উৎসবের জন্য উপজেলা প্রশাসন নিয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। যাতে করে উৎসব কারীরা কোন সমস্যায না পরে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ কেন্দ্রীয় দূর্গাপূজা মন্ডপের সভাপতি শ্রীমতি অনিতা রানী মহন্ত জানান,মা ঘটকে চড়ে(ঘোড়ায়)আগমন করবে আর ভেলায় চড়ে (নৌকায়) চড়ে প্রস্থান করবে। তিনি বলেন,আমাদের দূর্গাপূজার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন মা আজ রবিবার রাতে আসবে।
এ দিকে পূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে উপজেলার সকল বিক্রয় বিতানী গুলোতে হিন্দুদের কেনাকাটার উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেনাকাটা করতে আসা পুটিমারী ইউনিয়নের শ্রীমতি বেবী মহন্ত জানান,দূর্গাপূজা উপলক্ষে শাড়ী,স্বর্ণ অলংকারসহ কসমেটিক কিনেছি আরও কিছু কিনবো বলে চিন্তা করছি। কাল বিকাল থেকে বিভিন্ন মন্ডপে যাব মাকে ভক্তি করবো এবং আগামী দু’দিন যতটুকু সম্ভব ঠাকুর দেখে সময় কাটাবো।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মনসুর আলী জানান,প্রশাসনিক ভাবে সকল ঝুকিপূর্ণ পূজা মন্ডপগুলোতে পুলিশের পাশাপাশি আনসার,ভিডিপি ও সাদা পোষাকের পুলিশ কাজ করবে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সকল পূজা মন্ডপের সমস্যা লক্ষ্য করা যায়নি।
মন্তব্য চালু নেই