কিশোরগঞ্জে দলীয় কোন্দলে ঝুলে আছে সরকারী ধান সংগ্রহ অভিযান
খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥ কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দলীয় কোন্দলে ঝুলে আছে খাদ্য অধিদপ্তরের ১ হাজার ৬শত ৩৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ অভিযান। গত ৫মে থেকে ইরি -বোরো ধান সংগ্রহ করার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য অধিদপ্তর। তবে দলীয় সমঝোতার উপর নির্ভর করছে এ উপজেলার কৃষকের ভাগ্য। দলীয় জঠরা খুললে হয়তো বড় চাষিরা কিছুটা লাভবান হবে। কিন্তু মধ্যবিত্ত চাষিরা সরকারী দর থেকে বঞ্চিত হবে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে।
উপজেলা খাদ্য অফিস সুত্র জানায়, এবারে ইরি-বোরো মওসুমে এ উপজেলায় ১ হাজার ৬শ ৩৩ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করার টার্গেট নির্ধারন করা হয়। প্রতি কেজি ধানের মুল্য নির্ধারন করা হয় ২৩ টাকা। গত ৫মে থেকে উল্লেখিত পরিমান ধান সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করা হয়নি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে এখন পর্যন্ত এক ছটাক ধান সংগ্রহ না করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন কৃষকদের তালিকা এখনও চুড়ান্ত হয়নি। আওয়ামীলীগ জাতীয়পার্টির মধ্যে কোন জঠরা আছে কিনা জানতে চাইলে এর জবাবে তিনি বলেন, তারা আমাকে একটি তালিকা দিয়েছে কিন্তু সেটা এলাউ করা হবেনা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, খাদ্য অধিদপ্তর থেকে আমার কাছে প্রকৃত কৃষক ধান চাষীর তালিকা চেয়েছিল আমি তা অনেক আগেই দিয়েছি। এখন পর্যন্ত তারা কেন ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে পারেনি তা আমার জানা নেই। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এছরারুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি দলীয় কোন্দলের কথা অস্বীকার করে বলেন, ধান সংগ্রহের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রশিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির মধ্যে সমঝোতা হলে ধান সংগ্রহ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ধান সংগ্রহ কমিটির সভাপতি এস এম মেহেদী হাসানের সাথে কথা বললে , তিনি বলেন ধান সংগ্রহের বিষয়ে মাইকিং করে ধান চাষিদের অবগত করা হয়েছে। কিন্তু এখন পযন্ত এক ছটাক ধান সংগ্রহ না করার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
সরকারী ভাবে ধান সংগ্রহ কমিটির উপদেষ্ঠা ও নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শওকত চৌধুরীর সাথে মোবাইলে কথা বলার চেষ্ঠা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য চালু নেই