ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা করলো কলেজ ছাত্রী
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটনের বিরুদ্ধে অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় মামলা করায় নির্যাতিতা ওই ছাত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে স্বয়ং ভিকটিম।
অভিযোগে জানা যায়, ধর্ষিতা পুটিমারী ইউনিয়নের ধাইজান হাজীর হাট গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে এবং নীলফামারী সরকারী কলেজের ইতিহাস বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। তার মায়ের মৃত্যুর পর বাবা মোহাম্মদ আলী তাকে ঢাকায় ওয়ালিউল্যাহ নামের এক ছেলের সাথে বিয়ে দেন। কিন্তু স্বামী লম্পট চরিত্রহীন হওয়ায় তার উপর নির্যাতন চালালে সে নিজবাড়িতে ফিরে আসে।
এরপর সে স্বামীর সাথে বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। বিয়ে বিচ্ছেদের মধ্যস্থতার দায়িত্ব দেওয়া হয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটনের কাছে। স্বামীর সাথে বিয়ে বিচ্ছেদের কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান তাকে রংপুর নিয়ে গিয়ে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এক অপরিচিত বাড়ীতে নিয়ে তাকে ভূয়া বিয়ের নাম করে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।
এরপর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। বর্তমানে চেয়ারম্যান তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এ ঘটনায় এই ছাত্রী বাদী হয়ে গত ৪ অক্টোবর নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটনকে আসামী করে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান তাকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে পুটিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন’র সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর লাইন কেটে দেন।
এর পরে তার সাথে সাক্ষাত করে কথা বলার চেষ্ঠা করলেও তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যান।
মন্তব্য চালু নেই