সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুরা শিক্ষার থেকে বঞ্চিত

হামিদা আক্তার, নিজস্ব প্রতিনিধি : সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী তিন শিক্ষকের দীর্ঘদিন দিন ধরে অনুপস্থিতির কারনে ঐ বিদ্যালয়ে কোমলমতি ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা পাঠদান থেকে দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হয়ে আসছে। ফলে ঐ বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনটাই অভিযোগ করেছেন ঐ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের তিন সদস্য। গত ১৬ জানুয়ারী ডিমলা উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্য দলিবুল্লাহ সরকারের পুত্র তহিদুল ইসলাম, মৃত ইয়াকু আলী’র পুত্র মোঃ সাহেব আলী, নজমদ্দিন সরকারের পুত্র ফরিদুল ইসলাম। অভিযোগ কারীরা বলেন, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জ মধ্যপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক বিপ্লব সরকার, সহকারী শিক্ষক আলম মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে স্কুলে ঠিক মতো আসেন না। যদিও বা আসেন তাহলে দু’এক ঘন্টা স্কুলে থেকে চলে যান। আবার কখনও কখনও ঐ শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে স্কুলে উপস্থিত না থেকেও গোপনে হাজিরা থাকায় স্বাক্ষর করছেন। এভাবেই তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাতছেন। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় আমরা ঐ শিক্ষদের সাথে বিদ্যালয়ের অনুপস্থিতির বিষয়ে কথা বললে তারাই হুমকী দিয়ে বলেন আমাদের নামে অভিযোগ করে কোন লাভ হবে না। আমরা সব দিক ম্যানেজ করেছি। বর্তমান সরকাররে ভিশন-২০২১’ লক্ষ পূরণে ও শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে ঝড়েপড়া শিশুদের স্কুলমূখী করতে পাঠদান ব্যবস্থায় যে পরিমান সরকার ভর্তুকী দিচ্ছেন তার কোনটাই ফলপ্রসু হচ্ছে না ঐ শিক্ষকদের স্কুলে অনুপস্থিতির ফলে বলে অভিযোগকারীরা অভিযোগে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে মুঠোফোনে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। বিষয়টির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যবস্থা উন্নত করতে শিক্ষকদের বেতনভাতা বাড়িয়ে দিয়েছেন সরকার। অথচ, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়ে শিক্ষকরা দিনের পর দিন এভাবেই স্কুল ফাঁকি দিয়ে অনুপন্থিত থাকছেন। যেন দেখার কেউ নেই। অভিযুক্ত শিক্ষকদেরকে দ্রুত অপসরন করে শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রনের দাবী জানিয়েছেন অভিভাবকবৃন্দ।



মন্তব্য চালু নেই