মৃত নারী জেগে উঠে ক্ষমা চাইলেন স্বামীর কাছে!

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার মাদারপুর গ্রামের গৃহবধূ পারুল বেগম। পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত গোদাগাড়ী সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শর্মিলা শর্মা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার পরে তাকে দাফনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় জেগে উঠেন পারুল বেগম।

পারুল বেগমের স্বজনরা জানান, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পরে পারুল বেগমকে বাড়িতে নেয়া হয়। সে মারা গেছে এমন সংবাদ দেয়া হয় আত্মীয়দের মাঝে। চারদিকে পড়ে যায় কান্নার রোল। এর মধ্যেই চলছিল দফনের প্রস্তুতিও। ঠিক সেই সময় সবাইকে অবাক করে দিয়ে নড়েচড়ে বসেন পারুল বেগম। একপর্যায়ে কথা বলে ওঠেন। স্বামী আব্দুল বারির হাত ধরে ক্ষমাও চান।

ঘটনার পরে স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সে করে পারুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে এবার পথেই মারা গেলেন পারুল।

আব্দুল বারি অভিযোগ করেন, গোদাগাড়ী হাসপাতালে তার স্ত্রীকে চিকিৎসা দেয়া হয়নি। ওই সময় চিকিৎসা পেলে পারুল হয়তো বেঁচে যেতেন। এসময় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তোলেন তিনি।

ডা. শারমিন জাহান মাওলা জানান, হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে পারুল বেগমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ আছে। আর সেখানে স্বাক্ষর করেছেন ওই সময়কার কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শর্মিলা শর্মা। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ডা. শর্মিলা শর্মাকে পাওয়া যায়নি।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন আবদুস সোবহান জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।



মন্তব্য চালু নেই