গলায় ওড়না পেঁচিয়ে একই ঘরে দুই স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সাহাপুর এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে দুজন আত্মহত্যা করে। যৌন হয়রানির জের ধরে তারা আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

দুই স্কুল ছাত্রী হলো- সাহাপুর পশ্চিপাড়া এলাকার নাজমুল হক নাজুর মেয়ে বর্ণা (১৩) ও একই এলাকার মুক্তার আলী মেয়ে উম্মে মারিয়া শম্পা (১২)। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। তারা কাটাখালীর বেলঘড়িয়া আবদুস সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। শম্পার বাবা মুক্তার হোসেন চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, বিকেলে প্রাইভেট পড়ে শম্পার বাড়িতে আসে দুজন। এরপর সন্ধ্যায় একই ঘরে আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তারা আত্মহত্যা করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাশ উদ্ধারের সময় দুই ছাত্রীর হাত থেকে দুটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে শম্পার হাতের সুইসাইড নোটে বিপ্লব মাস্টার ও বর্ণার হাতের সুইসাইট নোটে লেখা ছিল মুন্না নামের একজনের নাম।

নিহত বর্ণার বড় বোন নুপুর বলেন, মুন্না দীর্ঘদিন ধরে বর্ণাকে পথে ঘাটে উত্ত্যক্ত করত। এ কারণেই শেষ পর্যন্ত সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।

অন্যদিকে, শম্পা খাতুনের মা শরীফা বেগম তাঁর মেয়ের আত্মহত্যার জন্য দায়ীদের বিচার দাবি করেছেন।

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে কী লেখা আছে, তা তদন্তের স্বার্থে এখন বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘সুইসাইড নোটটি কার হাতের লেখা, তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করছি। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) উপকমিশনার (পূর্ব) আমির জাফর বলেন, দুই ছেলের সঙ্গে দুই স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জেনে ফেলে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ কারণেই তারা আত্মহত্যা করেছে।



মন্তব্য চালু নেই