বিএনপিকে খাটো করে দেখার কিছু নেই : ওবায়দুল কাদের

অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে দল ভারী করার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বসন্তে কোকিল আসে, বসন্ত গেলে চলেও যায়। যে নেতারা বসন্তের কোকিল নিয়ে দল ভারী করেছেন, তারা এগুলোকে সরান। কে কী করেন, আমরা জানি। নেত্রীও জানেন। আওয়ামী লীগে কোনও গডফাদার দরকার নেই। জনপ্রিয় নেতার দরকার আছে।’ শনিবার দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত রাজশাহী বিভাগীয় আওয়ামী লীগের কর্মীসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

দলীয় নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা কেউ পকেট কমিটি করবেন না। ত্যাগী নেতাদের দলে স্থান দেন। আমি রাজশাহীতে এসে দেখলাম অনেক কর্মীর চোখ, হাত, পা নেই। তারা দলের জন্য দিয়েছে। নেতারা কর্মীদের দিকে নজর দেবেন। তারা কী চাই, সেই দিকে খেলায় রাখবেন। কর্মীদের চোখের ভাষা, মনের ভাষা আপনাদের বুঝতে হবে। যদি না বোঝেন, তাহলে রাজনীতি করার দরকার নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের আদর্শ বঙ্গবন্ধু, আদর্শ শেখ হাসিনা। এই শহরে ৫০০ লোক নিয়ে কর্মিসভা করা কঠিন ছিল। কিন্তু আজ হাজার হাজার মানুষ নিয়ে আমরা কর্মিসভা করছি। দল ক্ষমতায় রাজশাহীতে সুদিন এসেছে। রাজশাহী অভাবী এলাকায় ছিল। সেই দিন চলে গেছে। এখন রাজশাহীতে বিদ্যুৎ ও গ্যাস এসেছে। বর্তমানে রাজশাহী ঢাকা ছাড়িয়ে গেছে, কারণ রাজশাহী দূষণমুক্ত নগরী।’

দলীয় নেতাদের আচরণ ঠিক করার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আশেপাশের মানুষদের ঠিক করুন। আপনাদের পরিচয় দিয়ে অনেকে অপকর্ম করছেন। সেগুলো বন্ধ করুন। শেখ হাসিনার উন্নয়নের খাটতি নেই, আপনাদের আচরণে ঘাটতি আছে।’ তিনি বলেন, ‘নেতারা নিজেদের স্বার্থে কর্মীদের পাহারাদার হিসেবে ব্যবহার করেন। এগুলো বন্ধ করুন। কর্মীদের পাশে দাঁড়ান। অপকর্ম করলে দলে ভালো লোকরা আসেন না। খারাপ লোকরা আসবেন। আমাদের দলে খারাপ লোকের দরকার নেই। দল ভারী করার জন্য খারাপ লোকদের আনবেন না। ভালো লোকদের নিয়ে আসুন। ভালো লোকদের আনতে আপনাদের আচরণ ভালো হতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়নে নেই কোনও ঘাটতি। আগামী নির্বাচনের জন্য আমরা উন্নয়নের অ্যাচিভ করেছি। সামনেও উন্নয়ন চলমান থাকবে। কিন্তু ১০টা ভালো উন্নয়নকে দুইটা খারাপ আচরণ ঢেকে দিতে পারে। মানুষ খারাপ ব্যবহার কোনও দিন ভোলে না। এখন ক্ষমতায় আছেন। কেউ কিছু বলে না। যখন নির্বাচন হবে ব্যালটের মাধ্যমে আপনাদের শাস্তি দিয়ে দেবে।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর পরিচালনায় সমাবেশের সভাপতিত্ব করছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুল খালেক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নরুল ইসলাম ঠান্ডু, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই