রাজশাহীর অধিকাংশ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে নেই অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা

রাজশাহী নগরীর অধিকাংশ বণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে নেই ফায়ার ডিসটিংগুইশার বা অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা। যদিও বা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ফায়ার ডিসটিংগুইশার বা অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র চোখে পড়লেও সেটির ব্যবহারের তারিখ অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। কোন র্দূঘটনা ঘটলে ব্যপক হতাহতের ঘটনা ঘটবে বলে মনে করছেন সমাজের বিশিষ্ট জনেরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নিউমার্কেট, আরডিএ মার্কেট, উপশহর নিউ মার্কেট, সাহেব বাজার এস এ টাওয়ার, জলিল বিশ্বাস পয়েন্ট মার্কেটসহ নগরীর অধিকাংশ আবাসিক হোটেল এবং চাইনিজ রেষ্টুরেন্টগুলোতে নেই আগ্নি নির্বাপন যন্ত্র।

শুধু তাই নয় নগরীর বেশীর ভাগ পেট্রোল পাম্পে বালু ও পানি থাকার কথা থাকলেও কতৃপক্ষ তা রাখেন না। বেশ কয়েকবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পেট্রল পাম্পগুলোতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও সেখানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি ওই সব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। প্রায় ১২ বছর আগে রাজশাহী নিউমার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

রাজশাহী নিউমার্কেট মুদি ব্যবসায়ী ফরিদ হোসেন বলেন, ওই র্দূঘটনার ক্ষয়ক্ষতি এখন পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারি নি আমরা । ওই ঘটনার পরও আমাদের মার্কেটে এখনও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা জন্য জরুরী কোনো ব্যবস্থা রাখা হয় নি। আবারো যদি অগ্নিকান্ড ঘটে তাহলে আরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে রাজশাহী নিউমার্কেটের বণিক সমিতির সভাপতি নূর-উন নবী (লুলু) বলেন, আমাদের মার্কেটে তেমন কোনো অগ্নি নির্বাপনের যন্ত্র নেই। যদিও কয়েকটা দোকানে অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র আছে তবে আগুন লেগে গেলে তা দিয়ে তখন আর কাজ হবে না । তবে অগ্নি নির্বাপন কি করে করা যায় এ বিষয়ে আমার খুব শিঘ্রই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকতাদের সাথে আলোচনায় বসবো।

এ দিকে আরডিএ মার্কেটের গার্মেন্টস দোকানদার সিরাজ বলেন, আমাদের মার্কেটে যদি আগুন লেগে যায় তাহলে কয়েক ঘন্টার ভিতরে মার্কেট পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। তবে আগুন লেগে গেলে তাৎক্ষণিক ভাবে আমাদের কি করণীয় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে আমাদের সে সম্পর্কে কখনো কোন প্রকার ধারণা দেওয়া হয় নি।

এ বিষয়ে আরডিএ মার্কেটের বেনেতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, আমাদের মার্কেটে অগ্নি নির্বাপনের তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। যদি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাহলে অগ্নিসংযোগের ভয়াবহতা থেকে আমরা রক্ষা পাবো। যেমন ৬ মাসে একবার প্রশিক্ষণ দিলে ব্যবসায়ীরা সচেতন হবে। তাহলে আগুন লাগলে কি করতে হবে তা ব্যবসায়ীদের ধারণায় আসবে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হবে।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের সহকারি পরিচালক আহসানুল কবির জানান, গত ৫ ও ৬ মে আমরা র‌্যাব ও বিজিবি নিয়ে সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালাই নগরীর বিভিন্ন জায়গায়। বেশ কিছু দিন আগে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে ডিসি অফিসে ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে আমাদের বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা আমাদের সহযোগীতা করার কথা বললেও পরে তারা আর আমাদের সাথে যোগাযোগ করে নি।

তিনি আরো বলেন, যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ফায়ার লাইসেন্স বিহীন চলছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুয়যায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদলত অভিযান পরিচালনা করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই