রাউজানে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের বেলায় ভাসছে আওয়ামীলীগ: বিএনপি’র রাজনীতি কেয়ামতে

চট্টগ্রাম রাউজানে বিশ দলীয় জোটের নেতা কর্মীদের আওয়ামীলীগে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। এতে চরম বেকায়দায় আছে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও বিএনপি জোট। উভয় দলে এখন বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে ভাসছে। সর্বশেষ বিএনপি’র সাবেক সাধারণ স¤পাদক এক সময়ে রাউজান সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আলহাজ্ব ছালামত আলী পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর মুছলেখায় তড়িগড়ি করে আওয়ামীলীগে যোগদান ও মুক্তির ঘটনায় আলোচনার ঝড় উঠেছে রাউজানে। ছালামত আলীর যোগদানের নৈপথ্যে চলছে চুলছেঁড়া বিশ্লেষন।

অনেকেই বলছে ছালামতের আসল আলামত, নাকি রাজনৈতিক কেয়ামতে পাঠাঁবলি ছালামত। এই দিকে পাওয়া গেছে প্রধান দু’টি দলের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য। আওয়ামীলীগ বলছে বিএনপি’র আদর্শ বিরক্তিকর। তাদের কোন সাংগঠনিক ভিক্তি নেই। আওয়ামীলীগের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শেখ হাসিনার আদর্শে আওয়ামলীগে যোগদান করছে বিএনপি’র নেতারা। বিএনপি বলছে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক যোগদানের নাটক করছে আওয়ামীলীগ।

ছলামত আলীসহ অনেক বিএনপি’র বড় বড় নেতাদের যোগদানের এই কল্পকাহিনী চায়ের দোকানের টেবিল থেকে শুরু করে ঘরের বউ-ঝিদের মুখেও শুনা যাচ্ছে। জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায়ও গত কয়েকদিন ধরে শিরোমামে উঠে এসেছে দোগদানের নানা কাহিনী। আওয়ামীলীগের অনেকেই গনহারে দলে যোগদানের ঘটনা ভালো চোখে দেখছেন না। তারা মনে করছেন মামলা থেকে রেহাই পেতে মূলত আওয়ামীলীগে যোগ দিচ্ছেন তারা।

পাশাপাশি বিএনপির সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং দলের কর্মসূচি গোপনে পাচার করছে। তার উদাহরণ টেনে বলেছেন গত ৫ জুলাই রবিবার নগরীর রীমা কমিউনিটি সেন্টারে রাউজান উপজেলা বিএনপি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সমর্থিত ইফতান মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগে সদ্য যোগদান কারী অনেক নেতাকে দেখা গেছে। এখন প্রশ্ন নব্য এসব নেতা কর্মী আওয়াীলীগের জন্য কতটুকু নিরাপদ। অপর দিকে বিএনপি’র জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃত্বস্থানীয়দের কাছে সন্দেহের তালিকায় কয়েক’শ নেতা কর্মীর নাম উঠে এসেছে। যারা জিয়ার আদর্শ বির্সজন দিয়ে দুই নৌকায় পা দিয়েছে তাদের সর্তক করার পাশাপাশি দল থেকে বহিস্কার করার সিন্ধান্ত নিয়েছে।

সব মিলিয়ে বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে ভাসছে আওয়ামীলীগ- বিএনপি। আওয়ামীলীগে বিএনপি’র নেতাদের যোগ প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক মেয়র শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আর্দশে গড়া আওয়ামীলীগের শাসন ও উন্নয়নে কেউ অংশিদার হতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে। তিনি আরো বলেন, রাউজানের সাংসদ ফজলে করিম চৌধুরী রাউজানের আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। তিনি রাউজানের উন্নয়নের কান্ডারী ও শান্তির অগ্রদূত। রাউজান নিয়ে দিন রাত কাজ করছেন সাংসদ। উনার কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মিথ্যার উপর ভিক্তি করে পাতানো বিএনপি জন সমর্থন হারিয়েছে। এখন ঐ দলেল নেতৃত্বস্থানী নেতারা আওয়ামীলীগে যোগদান শুরু হয়েছে।

প্রবীন এই নেতা জানান যাচাই বাচাই করে দলে আনা হচ্ছে তাদের। সুবিধাভোগি কোন নেতার ঠাঁই দলে হবে না। ছালামত আলীসহ বিএনপির নেতাদের আওয়ামীলীগে যোগদান প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ও রাউজান পৌসভার মেয়র কাজী আবদুল¬হ- আল হাসান জানান, আওয়ামীলীগ এখন নেতাকর্মী শূণ্য দলে পরিনত হয়েছে।

এখন বিএনপি’র নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদানের নাটক করছে। তিনি বলেন, বিএনপিতে জন সমর্থন যেমন বেশি তেমনি নেতা কর্মীও বেশি। কিছু কর্মী নিয়ে যদি আওয়ামীলীগ গনতন্ত্র চর্চা করতে চাই তাহলে ভালো কথা। পুলিশ দিয়ে দেশ চালাতে হবে না। আমাদের থেকে নেয়া নেতাদের থেকে অনেক শেখার আছে আওয়ামীলীগের।



মন্তব্য চালু নেই