পিন্টুর মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত দল মাঠে

রাজশাহী: বিডিআর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত প্রয়াত বিএনপি নেতা, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চিকিৎসায় কোনো গাফলতি ছিলো কিনা তা জানতে মাঠে নেমেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটির সদস্যরা বুধবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার একেএম নাসির উদ্দিন, হৃদরোগ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. রইস উদ্দিনসহ হৃদরোগ ও জরুরি বিভাগে ঘটনার দিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্টার্নি চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও ট্রলিম্যানদের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেছেন।

পরে পিন্টুর লাশের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান জুবাইদুল রহমানের সঙ্গেও তারা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রস্তুতির অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন।

এ সময় ডাক্তার জুবাইদুল রহমান জানান, পিন্টুর ময়নাতদন্তের সময় সংগ্রহকৃত আলামতগুলোর পরীক্ষা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকার মহাখালীতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যে পিন্টুর ময়নাতদন্তের সময় সংগৃহিত আলামত পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তার ময়নাতদন্তের রির্পোট প্রস্তুতির জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করা হয়েছে।

এদিকে এর আগে মঙ্গলবার দিনভর তদন্ত কমিটির সদস্যরা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের কক্ষে রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি (প্রিজন) বজলুর রশিদ, কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান, জেলার শাহাদত হোসেন ও কেন্দ্রীয় কারাগারের চিকিৎসক আবু সায়েমসহ কারা সংশিষ্ট বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তদন্ত কমিটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিল করবে।

উল্লেখ্য, গত রোববার রাজশাহী কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি বিএনপি নেতা পিন্টু হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে জরুরি বিভাগ থেকে তাকে হৃদরোগ বিভাগে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নগরীর রাজপাড়া থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই