পশ্চিম রেলের প্রকৌশলীর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু
রাজশাহী: পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সদর) তাপস দাসের স্ত্রী স্মৃতিলেখা দাসের (৩৫) মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্মৃতিলেখা দাস রবিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান।
গৃহবধুর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে রামেক হাসপাতাল থেকে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে সনদ দেয়া হয়। পরে সৎকারের জন্য লাশ নিহতের বাবার বাড়ি বাগেরহাট সদরের উদ্দেশ্যে নেয়ার জন্য একটি মাইক্রোবাস রওনা হয়।
ওই গৃহবধূর ভাগ্নি ও রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দিশা হালদার বলেন, দুই কন্যা সন্তানের জননী স্মৃতিলেখা দাসকে প্রায় মারধর করতেন তার স্বামী। বিভিন্ন সময় তাকে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে তার বাবা তাদের নগরীর সাগরপাড়া বটতলা এলাকার ভাড়া বাসায় মাঝে মধ্যেই এসে অবস্থান করতেন।
সম্প্রতি তিনি নিজ বাড়ি বাগেরহাটে ফিরে যাবার পরেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি বোয়ালিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানান।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সৎকারের জন্য লাশ নিহতের বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছিলো। অভিযোগ পাবার পর সন্ধ্যায় লাশ রাজশাহীতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ থানা থেকে রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রামেক হাসপাতালের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, সংকটাপন্ন অবস্থায় দুপুরে ওই গৃহবধূকে রামেক হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মারা যান তিনি। এসময় স্বাভাবিক মৃত্যু উল্লেখ করে হাসপাতাল। আর কারণ হিসেবে দেখানো হয়, গলাব্যথা ও পিত্তথলির পাথরসহ বিভিন্ন রোগ।
এ বিষয়ে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রকৌশলী তাপস দাস পরে কথা বলবেন বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
মন্তব্য চালু নেই