যানজট মুক্ত রাখতে মাইক হাতে ট্রাফিক পুলিশ

রাজশাহী নগরীতে যানজট নিরসনে ব্যাপক সর্তকতা গ্রহণ করেছে মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। রাজশাহী নগরীকে যানজটমুক্ত আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নগর ট্রাফিক পুলিশ।

নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, রেলগেট কামরুজ্জামান চত্ত্বর, মনিচত্বর, লক্ষি¥পুরসহ বিভিন্ন জায়গায় যানজট নিরসন ও নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ তাদের সর্তকর্তামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, ভ্যান, মোটর সাইকেল ও সিএনজিসহ বিভিন্ন যানাবহনের যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশের দল।

বিশেষ করে নগরীর বিন্দুর মোড় ও লক্ষ্মীপুরে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মাইকিং এর ব্যবস্থা করা হয়। যেন রাস্তার উপর যেখান সেখানে যানবাহন না দাঁড়ায়ি যানজট তৈরি হয়। এজন্য যানবাহন চালকদেরকে মাইকিং করে সচেতন করছেন ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

যেহেতু নগরীর অনেক রাস্তাগুলো দুই লেনের। আর এই রাস্তা দিয়ে টাক, বাস ছাড়াও গণপরিবহণ হিসেবে অটোরিক্সা চলাচল করে। তাই যানজট লক্ষ করা যায়। তাই ট্রাফিক আইন মেনে যানবাহন চালানোর জন্য বলা হয় চালকদের। অটোরিক্সা চালকদের রাস্তার ফুটপাতের একপাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করানোর জন্য আহ্বান জানানো হয়। রাস্তায় অতিরিক্ত যানজট কমানোর জন্য এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে নগর ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

গত বুধবার এ বিষয়ে মহানগর ট্রাফিক পুলিশের এডিসি আতিকুর রহমান মিয়া পিপিএম জানান, নগরীতে যানজটের মাত্রা কমানো ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ সতকর্তা অবলম্বন করা হচ্ছে। নগরীতে যানজট কিভাবে কমানো যায় তার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যেহেতু রাজশাহীতে আগের থেকে বর্তমানে আটোচালকের সংখ্যা বেড়েছে।

এছাড়া কিছুদিন পরে মাহে রমযান আসছে। তাই যানজট নিরসনের জন্য আগামী প্রস্তুতি নেয়া হচেছ নগরীতে। যাতে চালকদের মধ্যে যানজট নিরসনের সচেতনতা আগাম তৈরি হয়। এছাড়া নগরীতে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স দিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। কিছুদিন পর থেকে নগরীর প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাদের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে যানজট নিরসনে আরো সর্তকতামূলক প্রচারণা চালানো হবে জানান তিনি।

যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য নগরীর বিন্দুর মোড় ও লক্ষ্মীপুর মোড়ে রাস্তার একপাশে প্লাস্টিকের কোন দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়। যাতে অটোচালকরা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে তাদের যাত্রীদের ওঠানামা করাতে পারে। যানজট নিরসন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তার একপাশে প্লাস্টিকের কোন দিয়ে চিহিৃত করে এ ব্যবস্থা করা হয়। যেহেতু নগরীর রাস্তাগুলোতে অটোচালকদের গাঁড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামার কোনো ব্যবস্থা নেই।

তাই এদের সুবিধার্থে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এসব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যানবাহনের যানজট কমানোর লক্ষ্য নিয়ে মাঠে কাজ করছে বলে জানানো হয়, ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে। ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে জনগণ সচেতন হতে হবে। জনগণ সচেতন না হলে ট্রাফিক বিভাগের পক্ষে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনা কষ্টকর হয়ে পড়বে। ফলে একত্রে কাজ করলে কোন সমস্যা হবে না বলে আশা করেন, ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

নগরীর বিন্দুর মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেন জানান, রাজশাহী নগরীতে গত কয়েক বছরের মধ্যে যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ফলে দিনের বেলায় বিশেষ করে সকালের দিকে যানজটের তীব্রতা বেশি হয়। কারণ এসময় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এবং কর্মজীবী মানুষ তাদের গন্তব্য কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হতে থাকে। ফলে রাস্তায় এসময় যানজট বেশি দেখা দেয়।

মূলত যানজটের সমস্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নগর ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে সর্তকতামূলক প্রচারণা ও কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। যতদিন যানজট অনূকুলে না আসবে ততদিন পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশের এ ধরনের সর্তকর্তামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই