‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে’
‘কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জুরি কর্ণে আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে’ কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই মনোমুগ্ধকর গান আমাদের স্মরণ করে দেয় কৃষ্ণচূড়ার তাৎপর্য। প্রকৃতি যখন প্রখর রৌদ্রে পুড়ছে কৃষ্ণচূড়া ফুল জানিয়ে দেয় তার আগমন বার্তা। প্রখর রৌদ্রে যে পায় প্রাণ। প্রকৃতিতে জানান দেয় তার আগমন। নীল আকাশের ক্যানভাসে গাঢ় রঙ জ্বলতে থাকে।
চলছে পহেলা বৈশাখের আমেজ। বাঙালি সত্ত্বার সঙ্গে যার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। ‘পান্তা ভাত-ইলিশ, মাটির তৈজসপত্র, বাংলা বর্ণমালা, শাড়ি, কৃষকের হাসি’ এর সঙ্গে পহেলা বৈশাখ জড়িত। বৈশাখকে নতুন মাত্র দেয় কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ। বনে বনে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙ মনে জ্বালিয়ে দেয় বিদ্রোহের আগুন, বিপ্লবের আগুন। আর সেই বিপ্লবের আগুন জ্বালতে প্রকৃতিতে ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে কৃষ্ণচূড়া ফুল।
এরই মধ্যে রাজশাহী মহানগরীর, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান উদ্যান ও চিড়িয়াখানা, রাজশাহী কলেজ চত্বর, জেলা প্রশাসকের বাংলো, রাবি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, পুলিশ লাইন গেটের সামনের রাস্তা ও বিসিক শিল্পনগরীসহ বিভিন্ন এলাকা কৃষ্ণচূড়ার ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে। তার লাল রঙ ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রকৃতিতে।
বাংলাপিডিয়া থেকে জানা যায়, কৃষ্ণচূড়া Caesalpinieae গোত্রের Delonix regia প্রজাতির আকর্ষণীয় ফুলবিশিষ্ট গাছের সাধারণ নাম। এ গাছ মধ্যম থেকে লম্বা গড়নের মাথা ছড়ানো। ফুল ফোটে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত। কমলা অথবা লাল রঙের আকর্ষণীয় ফুলের ডালের আগাছা গুচ্ছবদ্ধ। আগস্ট ও অক্টোবরের মাঝামাঝি ফল হয়। শুঁটি ৩০-৬১ সেমি লম্বা হয়। চমৎকার পাতা ও সুন্দর ফুলের জন্য সারাদেশে জনপ্রিয়। বাগান ও রাস্তার পাশে ব্যাপকভাবে রোপন করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই