সাতক্ষীরায় তিনদিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় সনাকের এআই ডেস্ক সম্পন্ন
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্পের আয়োজনে ডিজিটাল ফেয়ার ২০১৫ উপলক্ষ্যে ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারি তিনদিন সনাক সাতক্ষীরার এআই ডেস্ক পরিচালিত হয়েছে।
এআই ডেস্কের মাধ্যমে ৮৬ জন নারী পুরুষ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের তথ্য চেয়ে আবেদন করেছেন এবং ৫৪ জনকে এম আর পি পাসপোর্ট ফরম কিভাবে পূরণ করা হবে সে বিষয়ে হাতে কলমে শেখানো হয়েছে এবং পাসপোর্ট সরাসরি পূরণ করানো হয়েছে। এছাড়া ৬০০ অধিক নারী পুরুষ এআই ডেস্ক উপলক্ষ্যে দেয়া স্টল পরিদর্শন করেছেন এবং বিভিন্ন সেবা সম্পর্কে তথ্য জেনেছেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করেন মো: মনজুরুল ইসলাম, সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়।
উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান সহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। মেলায় জিজিটাল সেবা, ইনোভেশন আইডিয়া ও আইসিটি বিষয়ে বেশ কয়েকটি সেমিনার অনু্িষ্ঠত হয়। ২৫.০১.২০১৫ তারিখের ডিজিটাল সেবা বিষয়ে একটি সেমিনারে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের একজন শিক্ষার্থী বলেন যে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে কয়েকটি তথ্য চেয়ে গত ০১ মাস আগে একটি দরখাস্ত করেন এবং পরবর্তীতে কোন উত্তর না পেয়ে তিনি কর্র্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন যে সে আবেদন পত্রটি তারা হারিয়ে ফেলেছেন। এর পরে গত সপ্তাহে তিনি একই তথ্য চেয়ে পুনরায় সদর হাসপাতালে আবেদন করেন এবং এর কপি জেলা প্রশাসকের তথ্য কর্মকর্তার কাছে অনুলিপি হিসেবেও দাখিল করেছেন। বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন।
২৬.০১.২০১৫ তারিখে ইনোভেশন বিষয়ে এক সেমিনারে একজন স্বজন সদস্য বলেন, ইনোভেটিভ আইডিয়ার মাধ্যমে আমরা দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে পারি যেমন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী কাম পিয়ন নিয়োগ প্রক্রিয়া, আবেদনকারী প্রার্থীদের তালিকার বিস্তারিত তথ্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে সর্ব সাধারনের জন্যে উন্মুক্ত রাখা যেতে পারে। সকল শিক্ষকদের নিয়োগ ও বদলী বিষয়ে সকল তথ্য জেলা প্রাথমিক/মাধ্যমিক শিক্ষার পোর্টালে জন সাধারনের জন্যে উন্মুক্ত রাখা যেতে পারে। একজন শিক্ষকের ডেপুটেশন কেন অন্য জনের চেয়ে অধিকতর প্রয়োজন বা গ্রহনযোগ্য তার কারন পোর্টালে থাকতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার সকল সেফটি নেট প্রকল্পের উপকার ভোগী নির্বাচন, ভাতা প্রদানের সকল তথ্য, ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংশ্লিষ্ট পরিষদের পোর্টালে জনসাধারনের জন্যে উন্মুক্ত রাখা যেতে পারে।
টিআইবির সাতক্ষীরা এরিয়া ম্যানেজার আশিক বিল্লাহ বলেন যে ইলেকট্রিক বোর্ডের মাধ্যমে হাসপাতালে ডাক্তারদের ডিউটি রেজিষ্টার আপডেট রাখা। যাতে রোগীরা ঐ ইলেকট্রিক বোর্ডের মাধ্যমে ডাক্তারদের এ্যাভেইলএ্যাভেলিটি দেখতে পারে। ইলেকট্রিক বোর্ডের মাধ্যমে মেডিসিন রেজিষ্টার হালনাগাদ করে প্রতিদিনের বিতরণকৃত মেডিসিনের তালিকা ও মেডিসিনের এ্যাভেইলএ্যাভেলিটি হাসপাতালের দেয়ালে জনসাধারনের জন্যে উন্মুক্ত রাখা যেতে পারে। হাসপাতালের প্রদেয় সকল সেবা মূল্যের ইলেকট্রিক ক্যাশমেমোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যার মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে সঠিক পরিমান অর্থ জমা হতে পারে।
এছাড়া জলবায়ু, ভূমি, নারী বান্ধব সেবা, বাল্য বিবাহ, জন্ম নিবন্ধন, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সেফটি নেট প্রকল্পের উপকারভোগী বাছাই, ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম, ডিজিটাল ডাক যোগাযোগ, ডিজিটাল সঞ্চয়পত্র, ইন্টার নেটে শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্ট প্রদান ই-লাইব্রেরী বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয় যার প্রত্যেকটি ইনোভেটিভ আইডিয়া বাস্তবায়িত হলে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি কমে আসবে।
মেলার শেষ দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সনাকের স্টল পরিদর্শন করেন এবং পুরষ্কার প্রদান করেন জনাব আব্দুস সামাদ, বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা। বিভাগীয় কমিশনার টিআইবি’র এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান এবং আগামিদিনে এ কার্যক্রম অব্যহত রাখার জন্যে বলেন। স্টল পরিদর্শন করেছেন সনাক সভাপতি প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সহ সভাপতি পবিত্র মোহন দাশ, সদস্য ড. দিলারা বেগম, কল্যান ব্যানার্জি, হেনরী সর্দার, তৈয়েব হাসান, পল্টু বাশার ও অলিউর রহমান।
এছাড়া স্বজন সমন্বয়ক কাজী মাসুদুল হক, সদস্য সাজাহান হোসেন সাজু, ফরিদা ইয়াসমিন শিল্পি ও মরিরুজ্জামান মুন্না, ইয়েস সদস্য আব্দুর রহমান সনাকের স্টল পরিদর্শন করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই