সাতক্ষীরায় সনাকের পদযাত্রা ও মানববন্ধন

আব্দুর রহমান, সাতক্ষীরা : প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য শিল্পোন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে পদযাত্রা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাতক্ষীরা কার্যালয় হতে একটি পদযাত্রা বের হয়। পদযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেটস্থ শহিদ আলাউদ্দিন চত্বরে এ মানববন্ধনে পরিবেশ দূষণকারী উন্নত দেশগুলো কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ঋণের পরিবর্তে উন্নয়ন সহায়তার অতিরিক্ত এবং নতুন প্রতিশ্রুতি হিসেবে শুধু অনুদান আকারে ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ দশ দফা দাবি উত্থাপন করেন বক্তারা।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সনাক সদস্য ও জলবায়ু বিষয়ক উপ-কমিটির আহ্বায়ক জনাব কল্যান ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য প্রফেসর আব্দুল হামিদ, ডা. সুশান্ত কুমার ঘোষ, মো: তৈয়েব হাসান এবং ইয়েস সদস্য নুসরাত জাহান রাখি প্রমুখ।

এসময় টিআইবির উত্থাপিত দাবিগুলো সকলের সামনে তুলে ধরেন। টিআইবি-সনাকের দাবী গুলো হলো: ‘প্যারিস চুক্তি’ বাস্তবায়নে প্রধান কার্বন নিঃসরণকারী হিসেবে সকল শিল্পোন্নত দেশের অঙ্গীকার অব্যাহত রাখা; ‘দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান’ নীতি বিবেচনা করে ঋণ নয়, শুধু অনুদান, যা উন্নয়ন সহায়তার ‘অতিরিক্ত’ এবং ‘নতুন’ প্রতিশ্রুতি হবে- কে স্বীকৃতি দিয়ে জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করা; প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী সবুজ জলবায়ু তহবিলে শিল্পোন্নত দেশসমূহের অর্থায়নের প্রতিশ্রুতির আইনী বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা; এবং প্যারিস চুক্তিতে প্রস্তাবিত ‘স্বচ্ছতা কাঠামো’তে শিল্পোন্নত দেশ কর্তৃক গৃহীতব্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা সংক্রান্ত কার্যক্রমে বিশেষ করে জলবায়ু অর্থায়নে স্বপ্রণোদিত তথ্যের উন্মুক্ততা, জবাবদিহিতা, নাগরিক অংশগ্রহণ এবং শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করা।

এছাড়াও জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে জলবায়ু তহবিল এর আওতায় গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সকল প্রকার আর্থিক লেনদেনের প্রতিবেদন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে প্রকাশ করাসহ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল নির্ধারণে বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞসহ সকল অংশীজনের ধারাবাহিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা সংক্রান্ত সকল প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকির সম্মুখীন জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং আদিবাসীদের ব্যাপক ও কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

সমাপনি বক্তব্যে সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি বলেন, আমরা সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। বায়লাদেশ সবচেয়ে বেশি জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। আর আমাদের জেলা তার মধ্যে অন্যতম। আমরা সাতক্ষীরাবাসী আইলা, সিডর, নার্গিসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের শিকার হচ্ছি। তাই আমাদের এ বিষয়ে সোচ্ছার থাকতে হবে। আমরা চাই জলবায়ু ঝুঁকি মেকিাবেলায় আমাদের ন্যায্য পাওনা ঋণ নয় ক্ষতিপূরণ হিসেবেই উন্নত বিশ^ বাংলাদেশ কে দিবে। এসময় সনাক, স্বজন ও ইয়েস গ্রুপের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই