সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামে গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কারের সম্ভাবনা দেখা গেছে। নলকুপ বসানোর সময় পানির ফোয়ার ছুটতে দেখে ও পানি মিশ্রিত বালুতে গ্যাসের গন্ধ থাকায় এলাকাবাসী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের খবর দেয়। তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কারের বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছেন।
রোববার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়ীর উঠানে টিউবওয়েল বসানো হচ্ছিল। ২০ফুটের মত পাইপ বসানোর পরপরই বিকট শব্দে নীচ থেকে পানি ও মাটি ঠেলে ওপর দিকে উঠে। এরপর শুরু হয় বালু মিশ্রিত পানির ফোয়ারা। অর্ধশতাধিক ফুট উপরে উঠতে থাকা পানির এ বেপরোয়া ফোয়ারা দেখে হতভম্ব হয়ে যান তারা। এসময় অনেকের মধ্যে আতঙ্কও তৈরী হয়। খবর পেয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান,গ্যাসের মত গন্ধ থাকায় তিনি আশাবাদি যে,ওই এলাকাটি একটি গ্যাস ক্ষেত্র হতে পারে। তবে তিনি আরো বলেন,যেহেতু আমি বিশেষজ্ঞ নই,তাই বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষার পরেই নিশ্চিত করা যাবে।
এদিকে স্থানীয়রা বালুর বস্তা ও সিমেন্টের তৈরী পাটাতন দিয়ে ক্রমাগত ফোয়ারা ঠেকাতে চেষ্টা করছেন।
সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে বাংলাদেশি গরু রাখাল আহত
ভারত থেকে গরু নিয়ে ফেরার পথে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে সাইফুল ইসলাম (৪০) নামে এক বাংলাদেশি গরু রাখাল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার ভোররাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তের শিবতলা-নেকুদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম সাতক্ষীরা শহরতলীর গড়েরকান্দা গ্রামের জিন্নাহ মোড়লের ছেলে।
সীমান্ত সূত্র জানায়, রোববার বিকালে কয়েকজন সহযোগী নিয়ে সাইফুল ইসলাম ভারতে যায় গুরু আনতে। সোমবার ভোররাতে গরু নিয়ে ফেরার পথে ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ করে গুলি বর্ষণ করে। এতে সাইফুল ইসলাম পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে সহযোগীরা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সদর হাসপাতালে সাইফুল ইসলামের অস্ত্রপচার চলছিল।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাতক্ষীরা ৩৮ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মেজর নজির আহমেদ বকশি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরায় জামায়াত-বিএনপির ৬ কর্মীসহ আটক-৩৬
সাতক্ষীরায় নাশকতার আশংকায় জামায়াত-বিএনপির ৬ কর্মীসহ ৩৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ ৬, কলারোয়া থানা পুলিশ এক জন , তালা থানা পুলিশ ৩জন , কালিগঞ্জ থানা পুলিশ ৫, শ্যামনগর থানা পুলিশ ১৩, আশাশুনি থানা পুলিশ ৪, দেবহাটা থানা পুলিশ ২ ও পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।