চাটমোহরে লিচু বাগানে মুকুলের সমারোহ ॥ পরিচর্চায় ব্যস্ত চাষীরা

পাবনার চাটমোহরে লিচু বাগান গুলোতে এখন মুকুলের সমারোহ। কয়েকদিনের মধ্যে এগুলো পরিণত হবে লিচুর আকারে। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বাগানে উঁকি মারা লিচুর মুকুলগুলো নজর কারে পথচারীদের। গত কয়েক বছর ধরে এ এলাকায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে লিচু চাষ হয়ে আসছে। বাগান পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষীরা।

লাভ জনক হওয়ায় দিনের পর দিন বাড়ছে লিচু আবাদের পরিধি। এ এলাকায় উৎপাদিত লিচু, রাজধানী ঢাকাসহ বিক্রি হয়ে থাকে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে। কয়েক ধাপে বিক্রি হয় লিচুর বাগান। গাছে মুকুল আসার আগেই অনেকে ৩/৪ মাসের জন্য বাগান বিক্রি করে দেন ব্যবসায়ীদের কাছে। কেউ বিক্রি করে থাকেন লিচুর গুটি হবার পর। লিচু পাকার পূর্বেই কয়েকবার পরিবর্তন হয় বাগানের মালিকানার।
অনেক বাগান মালিক অধিক লাভের আশায় নিজেরাই পরিচর্যা করে বড় করেন লিচু। সরেজমিন দেখা যায়, চাটমোহর উপজেলার গুনাইগাছা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর, জালেশ্বর, মন্ডলপাড়া, ফেলানপুর এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশি লিচুর বাগান। এছাড়া হরিপুর এলাকায় ও রয়েছে বেশ কিছু লিচু বাগান। কুমারগাড়া গ্রামের লিচু চাষী আব্দুল মজিদ জানান, এ বছর এখন পর্যন্ত আবহাওয়া লিচু চাষের উপযোগি রয়েছে।

লিচুর মুকুল বের হচ্ছে। এখনো মুকুল বের হওয়া শেষ হয়নি। তিনি আরো জানান, অন্যান্য ফসলের আবাদের চেয়ে লিচুর আবাদ লাভজনক হওয়ায় এ এলাকার মানুষ এখন ঝুঁকছে লিচু আবাদের দিকে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রায় ১ হাজার ৭শ লিচু চাষী রয়েছে। গত বছর হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছিল ৩ থেকে সাড়ে ৩ টন। সে হিসেবে চাটমোহরে গত বছর প্রায় ৭শ টন লিচু উৎপাদন হয়েছিল যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। এ বছর ১ হাজার ৪শ বিঘা জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে।

উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৮শ থেকে ৯শ টন। সে হিসেবে সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে এবছর চাটমোহরের লিচু চাষীরা ১ কোটি টাকার বেশি অংকের লিচু বিক্রি করবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।



মন্তব্য চালু নেই