দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান কর্তৃক অসহায় ও দুঃস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরন

দেবহাটায় অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদেরকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্য্যালয় চত্বরে দেবহাটা উপজেলা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গনি শীতবস্ত্র বিতরন করেছেন। অনেক অসহায় ও দুঃস্থ মানুষেরা শীতের কারনে প্রচন্ড কষ্ট ভোগ করছে। সেইসব মানুষদেরকে সাহায্য করার লক্ষ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান নিজে বিভিন্ন অসহায় ও দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরন করেছেন। কম্বল বিতরনকালে উপজেলা চেয়ারম্যান উপস্থিত সকলকে বলেন, মানব সেবাই প্রকৃত সেবা। আমাদের দেশে কত মানুষ এই শীতে প্রচন্ড কষ্ট ভোগ করছে। তিনি যার যতটুকু ক্ষমতা আছে তাকে ততটুকু অসহায়দেরকে সাহায্য দেয়ার জন্য আহবান জানান। এছাড়া তিনি সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও এনজিওদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যানের সাথে দেবহাটা প্রেসক্লাবের আহবায়ক হাসান রেজা রিপন, সদস্য সচিব আর.কে.বাপ্পা ভূমিহীন কমিটির নেতৃবৃন্দ সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

দেবহাটায় শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে এসএসসির ফরম পূরনে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ
দেবহাটায় শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে এসএসসির ফরম পূরনে বাড়তি অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবছর এসএসসির ফরম পূরনের আগে শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষাবোর্ড আলোচনার মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা নির্ধারন করে দেয়। ঐ টাকার বেশী নিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা থাকলেও সেটা বাস্তবে হচ্ছেনা। যার কারনে বরাবরের মত এবারো উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে নির্ধারিত ফির বদলে দ্বিগুনেরও বেশী ফি নিচ্ছে বলে সূত্র মতে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সূত্র মতে জানা গেছে, যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এবছর এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরনে মানবিক ও বানিজ্যে ১ হাজার ৩শত ১০ টাকা, বিজ্ঞান বিভাগে ১ হাজার ৪শত টাকা। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের নিকট থেকে পরীক্ষার ফি প্রতি পত্রে ৬৫ টাকা, ব্যবহারিক ফি প্রতি পত্রে ৩০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ফি প্রতি পত্রে ৩৫ টাকা, সনদপত্র ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ১শত টাকা, বয় স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি প্রতি পরীক্ষার্থী ১৫ টাকা ও শিক্ষা সপ্তাহ ফি ৫ টাকা করে নেয়ার নির্দেশনা আছে। একই নিয়ম অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও। তবে এক্ষেত্রে রিটেনশন ফি বাবদ প্রতি পরীক্ষার্থী ১শত টাকা নেয়ার নির্দেশনা আছে। কিন্তু এসব নিয়ম উপেক্ষা করে উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বিগুনেরও বেশী ফি আদায় করছে। আর এতে করে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলো ফির টাকা জোগাড় করতে দারুন কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীরা ফির টাকা জোগাড়ে অসমর্থ হলে তাদেরকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেয়া হবেনা বলে জানানো হচ্ছে। দেবহাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার মোট ১৫ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ১১ টি মাদ্রাসা এবছর এসএসসি ও মাদ্রাসা পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে। প্রতিবছর মন্ত্রনালয় ও শিক্ষা বোর্ড ফির টাকা নির্ধারন করে দিলেও শিক্ষকরুপী ঐ সমস্ত ব্যবসায়ীদের মানষিকতার কোন পরিবর্তন হচ্ছেনা। ফরম পূরনের সময় শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য যেমন চলে তেমনি এই সময়টা অনেক শিক্ষক টাকা আয়ের একটা মৌসুম মনে করে থাকেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে জানা গেছে, প্রায় সমস্ত প্রতিষ্ঠানেই ৩ হাজারের বেশী করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে সেই অংক সাড়ে ৩ হাজারের মত। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে কারো কারো সুপারিশে সেই অংকটা কিছুটা কম নেয়া হচ্ছে। তবে সেটা যৎসামান্য। এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনম তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি এ বিষয়ে অবহিত নন। কেউ কোন অভিযোগ দিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে এ বিষয়ে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হলে কেউ কোন কথা বলতে অসম্মতি প্রকাশ করেন।



মন্তব্য চালু নেই