ঝাউডাঙ্গার ওয়ারিয়ায় বেত্রাবতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের অভিযোগ

একরামুল কবীর, ষ্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সাতক্ষীরা : বেত্রাবতী নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে পুকুর ভরাট করে নিচ্ছে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল। ঘটনাটি সাতক্ষীরা সদর ্উপজেলার ওয়ারিয়া গ্রামে।

এক অভিযোগে জানা গেছে, বেত্রাবতী নদীর ওয়ারিয়া গ্রামের কার্ত্তিক বাবুর বাড়ির পার্শ্বে জনৈক মাসুদুর রহমান প্রায় ১ মাস ধরে একটি পুকুরে বালি ভরাট করছেন। নদীতে ড্রেসিং করে ঐ বালি ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। নিয়ম আছে নদী থেকে বালি তুলতে হলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষেরঅনুমতি নিতে হবে।

এ ব্যাপারে ঝাউডাঙ্গা ভূমি অফিসের তহশীলদার মামুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,কতৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ঐ স্থানে বালি ভরাট করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, আমি ঐ এলাকাটি ঘুরে দেখে এসেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বৃস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরা সদর এসি ল্যান্ড মহোদয়ের নিকট একটি লিখিত আবেদন করেছি।

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এলাকাটিতে গেলে স্থানীয় জন সাধারন এ প্রতিবেদককে জানান, প্রায় ১ মাসের বেশী সময় ধরে পুকুর ভরাট করার জন্য নদী থেকে ড্রেজিং করে বালি তোলা হচ্ছে। নদী থেকে বালি উঠানোর কারনে নদীর ভেড়ি ধসে পড়ছে।

বালি উঠানোর জন্য কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে কর্মরত শ্রমিকেরা জানান, বালি তুলতে গেলে কতৃপক্ষ অনুমতি দিতে চাই না। সে কারনে স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে বালি তোলা হচ্ছে। ঐ সময় শ্রমিকদের দেওয়া একটি মোবাইল নাম্বার(০১৭২৬ ৭২৪২৩৯) যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় আমরা বাড়ি বানানোর জন্য বালি তুলছি। বিক্রি করার জন্য না। অনুমতি নেওয়ার ব্যাপারে তিনি জানান, আগে অনুমতি নেওয়া হয়নি তবে আজকের মধ্যেই আমরা অনুমতি পেয়ে যাবো।

অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বালি তোলার কারনে নদীর ঐ স্থানে বিশাল খাদের সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসূমে নদীর ঐ স্থানে ভেড়ি ভেঙ্গে গিয়ে আশ পাশের ফসলী জমি ও বাড়ি ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের নিকট জোর দাবী জানিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই