কলারোয়ায় স্বামী হয়রানীর প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ সোমবার কলারোয়া রিপোটার্স ক্লাবের হলরুমে সকাল ১০ টার সময় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী কর্তৃীক স্বামী হয়রানীর প্রতিবাদে এক জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কলারোয়া উপজেলার লোহাকুড়া গ্রমের ভুক্তভোগী মুস্তাফিজুর রহমান মুন্নার বড় স্ত্রী মোছা: রেহেনা খাতুন।

তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমার অসুস্থার কারনে আমার স্বামী আমার অনুমতিতে ইংরেজি ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে কলারোয়া উপজেলার বড়ালী গ্রামের নুর হোসেনের কন্যা মোমেনা খাতুনকে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আমার স্বামীর ২য় বিয়ের পরই স্বামীর উপর ২য় স্ত্রী বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করতে থাকে, যেটা এক সময় মারামারীর আকার ধারন করে।

বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই মোমেনা খাতুনের আসল রুপ বুঝতে পারে আমার স্বামী মুস্তাফিজুর রহমান মুন্না। সে বুঝতে পারে মোমেনা খাতুন একজন দু:চরিত্র, লোভী ও হিংসাপরায়ন আর তার এই কাজের সহযোগীতা করেন তার মা সোনাভান বিবি। সে বিভিন্ন ভাবে আমার স্বামীর নিকট থেকে বিভিন্ন অজুহাতে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে অন্যের সাথে ঘুরাফেরা করে তাকে পথে বসার উপক্রম করে তুলেছে।

সে এই বিয়ের আগেও কয়েক জনের সাথে এই রকম প্রতারনা করেছে বলে জানা যায়। গত কয়েকদিন আগে বাসা থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও ৫ লক্ষাধিক টাকার ফার্নিচার নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ব্যাপারে যশোরের বিজ্ঞ আদালতে আমি(রেহেনা) বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করি।

এ সমস্ত বিভিন্ন অপকর্মের কারনে আমার স্বামী গত ১০-০৪-২০১৭ ইং তারিখে তার ২য স্ত্রী মোছা: মোমেনা খাতুনকে মুসলিম বিবাহ রেজিষ্ট্রার ও বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়, যশোর থেকে এফিডেভিটের মাধ্যমে তালাক প্রদান করে। এর পর থেকে এই চরিত্রহীন মহিলা আমার স্বামীকে জীবননাশের হুমকি প্রদান করছে এবং বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে।

এই কারনে আমার স্বামী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন এবং সংবাদ সম্মেলন করে প্রকৃত ঘটনা সকলকে জানানোর ব্যবস্থা করেছেন । যেন আর কেউ এভাবে এই কুচক্রী মহিলার দ্বারা আর কোন নিরিহ মানুষ প্রতারিত না হয়। এই সময় রেহেনা খাতুনের সাথে মুস্তাফিজুর রহমান মুন্নার ২ শিশু সন্তান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।



মন্তব্য চালু নেই