কলারোয়ায় মাঠের পর মাঠ সরিষার আবাদ : চারিদিকে মৌ মৌ গন্ধে সুশোভিত উপজেলা
জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ এবার কলারোয়া উপজেলায় মাঠের পর মাঠ সরিষার আবাদ করা হয়েছে। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে যেন গোটা উপজেলা সুশোভিত হয়ে উঠেছে। শত শত ছেলে মেয়ে সরিষা ফুলের ক্ষেতে বসে ছবিও তুলছে।
এই ছবি তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর আবহওয়া যদি এভাবে অনুকুলে থাকে তাহলে এ বছর সরিষার চাষে বাম্পার ফলনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরিষা ক্ষেত নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসিন আলী জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার হেক্টর। তবে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে, কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিলো। যা গত বছরের তুলনায় এবছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দেড়গুণ হয়েছে। এ বছর ভাল ফলনের জন্য টরি-৭, বারি-৯-১৪, ১৫ জাতের সরিষা চাষ করেছেন শতকরা ৮০ ভাগ কৃষক। বাকি ২০ ভাগ চাষ হয়েছে দেশী সরিষাসহ অন্যান্য জাতের। সরিষা চাষ করতে প্রধানতঃ ৪টি জিনিষ প্রয়োজন হয়।
তার মধ্যে রয়েছে-ভাল বীজ, সার, সেচ ও যতœ। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, জমিতে চাষ দিয়ে বীজ বপনের উপযুক্ত হলে ২ বিঘা জমিতে ১০ কেজি ইউরিয়া সার, ২০ কেজি ফসফেট ও ২০ কেজি পটাশ ও প্রয়োজন মত গোবর সার মিশিয়ে জমিতে ছড়িয়ে দিয়ে সরিষার বীজ বপন করেন।
পরে আরেকবার প্রয়োজন মত সার ওষুধ ও সেচ দিয়েছেন। এতে তিনি ভাল ফলনের আশা করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মহসিন আলী আরো বলেন, সরিষার ফলন প্রতি বিঘায় অর্থাৎ ৩৩ শতাংশ জমিতে ৫ থেকে ৬ মন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে।
ফলে কৃষকরা এ বছর টরি-৭, বারি-৯-১৪, ১৫ জাতের সরিষার বীজ বেশী চাষ করেছেন। এ ছাড়া তিনি উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে ব¬ক বা ক্ষেত পরিদর্শন সহ ভাল ফলন পেতে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মৌমাছি সরিষার কোন ক্ষতি করে না। তারা সরিষার ফুলে বসে পরাগায়ন ছড়ায় বিধায় বিঘা প্রতি শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ ফলন বেশী হয়। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার ভাল ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি আশাবাদি।
মন্তব্য চালু নেই