ঈদের শেষ সময়ে এসে কেনা টাকায় মহা ব্যস্ত কলারোয়ার ক্রেতারা

রোজা প্রায় শেষ। ঈদ বাকী আর ৩ /৪ দিন । রোজার এই শেষ সময়ে এসে কেনাকাটায় মহা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কলারোয়ার হাজারো মানুষ।
গত কাল মঙ্গলবার কলারোয়ার পৌর বাজারের জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট,এম,আর সুপার মার্কেট,পুরানো ইসলামী ব্যাংক মার্কেট সহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, বিপনী বিতান গুলোতে উপচে পড়া ভিড়। বিক্রেতারা জানান, সকাল থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। গত কয়েক দিনে অবিরাম বৃষ্টির কারনে অধিকাংশ দোকান গুলোতে খুব বেশী ক্রেতা ছিল না। গত দু দিন ধরে বৃষ্টি নেই। আর সে কারনেই দোকান গুলোতে ব্যাপক ভীড় হচ্ছে।দোকানীদেরকে রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে। তবে দোকানে ব্যাপক বেচাকেনার কারনে তারা মহা খুশি।
শেষ সময়ে এসে ক্রেতারা তাদের ছেলেমেদের জন্য বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ থেকে ফোরাগ,থ্রিপিস,ওড়না সহ বিভিন্ন জামা কাপড় কিনছেন। অনেকে জুতার দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন তাদের পছন্দ মত জুতা কেনার জন্য। সব চেয়ে বেশী ভীড় লক্ষ্য করা গেছে কসমেটিক্স এর দোকান গুলোতে । বিভিন্ন বয়সের মেয়েরা কিনছেন চুড়ি, নেলপালিশ, মেহেদী সহ বিভিন্ন কসমেটিক্স সামগ্রী। তবে দ্রব্যে মূল্য একটু বেশী।
টুপি,আতর,সেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের পারঢিউম কেনার জন্য ভীড় হচ্ছে টুপির দোকান গুলোতে। অনেকে তাদের নিজের জন্য ও সন্তানদের জন্য টুপি কিনছেন। দর্জি দোকানের কারগরদের চলছে নির্ঘুম রাত। কাজের প্রচন্ড চাপের কারনে তাদের প্রতিদিনই সারা রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে।টেলার্সের পরিচালকরা জানান, কাজের এত বেশী চাপ যে ১৫ রমজান থেকে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। বাজারের স্বনকার পট্রির্তে ও চলছে একই অবস্থা। তাদের ও চলছে নির্ঘুম রাত। এক কথায় এবারের ঈদে কলারোয়ার ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য নিয়ে কোন দূচিন্তায় ভুগতে হচ্ছে না।
শেষ সময়ে এসে চুল দাড়ী ছাটার জন্য ভীড় হচ্ছে নাপিতের দোকান গুলোতে। সেলুনের দোকান গুলোতে এত বেশী ভীড় যে সিরিয়াল দিয়ে চুল, দাড়ী ছাটার কাজ করতে হচ্ছে। ইলেকট্রনিক্স,এ্যালুমিনিয়াম সহ অন্যন্য দোকান গুলোতে ও বিশেষ করে মুদি দোকান গুলোতে চলছে বেচাকেনার মহা যঞ্জে মেতেছেন ক্রেতারা মুদি দোকানগুলো থেকে সেমাই, চিনি,মশলা, তেল,পিয়াজ,রসুন সহ বিভিন্ন সামগ্রী কিনছেন।এ সুযোগে দোকান মালীকগন দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলারোয়ার হাজারো ভোক্তা ঈদের এই শেষ সময়ে এসে দ্রব্য মূল্য স্থিতিশীর রাখার জন্য বাজারে মনিটরিং সেল তৈরী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই