অবশেষে শ্যামনগরের ভাঙ্গনকবলিত বেড়িবাঁধটি সংস্কার : আতংক কাটছেনা সাধারন জনগনের
সুন্দরবন উপকুলীয় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দূর্গাবাটি-মাদিয়া এলাকার খোলপেটুয়া নদীর ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধটি অবশেষে বুধবার সকালে স্থানীয় সাত শতাধিক এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সংস্কার করা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দুপুরে প্রবল জোয়ারের স্রোতে রাতে শ্যামনগর উপজেলার দূর্গাবাটি-মাদিয়া এলাকার খোলপেটুয়া নদীর আড়াই’শ ফুট বেড়িবাধ ভেঙ্গে দুই হাজার বিঘা মৎস্য ঘের তলিয়ে যায়। ধসে পড়ে প্রায় দুইশ’ কাচা ঘর-বাড়ি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান দাড়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা। এরপর মঙ্গলবার দুপুরের বাধটি সংস্কার করার সাথে সাথে প্রবল জোয়ারের স্রোতে রাতে ৭০ ফুট এলাকা জুড়ে তা ভেঙ্গে যায়। পানিতে তলিয়ে যায় বুড়িগোয়ালিনী ও আটুলিয়া ইউনিয়নের কমপক্ষে ১২টি গ্রাম । সেখানে দেখা দেয় সুপেয় পানির সংকট। এলাকা ছেড়ে অনেক মানুষ নিরাপদ স্থলে আশ্রয় নেন। বুধবার সকালে আবারও এলাকাবাসীর প্রানপন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাধটি সংস্কার করা হয়েছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর প্রানপন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাধটি সংস্কার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, গত রোববার খোলপেটুয়া নদীর আড়াই’শ ফুট বেড়িবাধ ভাঙ্গনের ফলে উক্ত এলাকার মৎস্যঘের, বাড়িঘর, কৃষি জমি পানিতে ভেসে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিশ্বজিত বৈদ্য জানান, স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে জোয়ারের পানি আটকানো সম্ভব হয়েছে। তবে পরবর্তী জোয়ারে কি হবে সেটি দেখভাল করা হচ্ছে। বাধের দূর্বল পয়েন্ট গুলো নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য স,ম জগলুল হায়দার জানান, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আর যাতে নতুন করে কোন ক্ষয় ক্ষতি না হয় সেদিকে সজাগ রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন সে অনুযায়ী সেখানে কাজ করছেন।
তবে, স্থানীয়দের দাবী সংস্কার করা বাধটি যাতে আর নতুন করে না ভেংগে যায় এবং বাধটি যাতে স্থায়ী ভাবে নির্মান করা হয় সেদিকে প্রশাসনসহ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই