সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. দিলারা বেগম
শিক্ষক সংকটসহ নানা সমস্যায় সরকারি মহিলা কলেজ
দেশ ও সমাজ উন্নয়নের মূল ভিত্তি নারী শিক্ষা। দক্ষিণ বাংলা’র অবহেলিত শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার প্রয়াসে সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে।
এ জেলার অবহেলিত শিক্ষার্থীদের কাছে এই কলেজটি সোনার হরিনের মত। কলেজ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ একর ৩০ শতক জমির উপর একাডেমিক কার্যক্রম এবং .৬৫ শতক জমির উপর নির্মিত একটি ছাত্রী হোস্টেল রয়েছে। ৬ হাজার ছাত্রছাত্রী অধ্যায়নরত এ কলেজটিতে শিক্ষক সংকট, ক্যান্টিন, ডরমেটরি, একাডেমিক ভবনের সল্পতা, ছাত্রী বহনকারী গাড়ী, ছাত্রী হোস্টেল সল্পতাসহ নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে এখান কার শিক্ষার্থীরা।
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতা, হরতাল-অবরোধের কারণে শিক্ষাব্যবস্থায় নেমে এসেছে বেহাল দশা। আতঙ্ক নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে। বন্ধ রাখা হচ্ছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। হরতালের কারণে সম্প্রতি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হচ্ছে ছুটির দিনে। এ বিষয়ে সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দিলারা বেগম বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো না হলেও সাতক্ষীরা’র অবস্থা সন্তোশজনক। বিশেষ করে সরকারি মহিলা কলেজে রাজনৈতিক অস্তিরতার কোন প্রভাব পড়েনা। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম থাকে। একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মডেল টেস্ট. ক্লাস টেস্ট, ক্লাসে’র হাজিরা বা প্রতিটি কার্যক্রম সফল করতে মেয়েদের অভিভাবকদের সাথে সর্বাক্ষণিক যোগাযোগ রাখি এবং নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হয়।’
কলেজ সূত্র জানায়, বর্তমানে কলেজে ১০টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। কোর্স সমূহ হল- বাংলা বিভাগ, ইংরাজী বিভাগ, অর্থনীতি বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ, দর্শন বিভাগ, ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগ, ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ। এছাড়া এ কলেজে বর্তমানে মাত্র ৪ টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। কোর্স সমূহ হল- বাংলা বিভাগ, রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ, দর্শন বিভাগ ও ইসলামের ইতিহাস সাংস্কৃতি বিভাগ।
কলেজের সমস্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ড. দিলারা বেগম বলেন, ‘সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজে শিক্ষকের পদ রয়েছে ৩৯টি। এর মধ্যে বদলী, প্রমশন এবং অবসর জনিত কারনে খালি রয়েছে ৮টি পদ। এছাড়া শরীর চর্চা শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে। ৩১ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে সমগ্র শিক্ষা কার্যক্রম। তিনি আরো বলেন, দুর দুরান্ত থেকে ছাত্রীরা লেখাপড়া করতে এসে নিরাপত্তা হীন ভাবে বিভিন্ন মেসে থাকে। যেখানে অনেক সময় নানা হয়রানি শিকার হতে হয়। কলেজের পাশ্ববর্তি একটি ৪ তলা হোস্টেল থাকলেও সেখানে আসন সংখ্যা মাত্র ২০০ জন। ফলে শ্যামনগর, কালিগঞ্জ আশাশুনিসহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থী হোস্টেল সংকটে রয়েছে। এছাড়া কলেজের প্রধান সমস্যা শিক্ষক সংকট সমাধেনে চেষ্টা চালচ্ছি। আশা করছি খুব শিঘ্রহী কলেজের শিক্ষক সংকট কমে যাবে।
মন্তব্য চালু নেই