এলাকাবাসী ও পর্যটনদের মাঝে ক্ষোভ
সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তার বেহাল দশা
সাতক্ষীরা পৌরসভার রাস্তার বেহাল দশা। পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ইটাগাছা বাঙ্গলের মোড় থেকে রইচপুর পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি পরিণত হয় মরণফাঁদে। শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংযোগ রক্ষাকারী সড়ক হলেও মেরামত বা সংস্কার হয়না বহু বছর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা পৌরসভার এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলার ভ্রমণ পিপাসুসহ বিদেশী পর্যটকরাও সাতক্ষীরার মতো এই ছোট্র জেলাতে ভ্রমনে আসে। কিন্তু রাস্তাটির বেহাল দৈন্য-দশার কারনে জেলার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।
স্থানীয়রা বলেন, “এই এলাকার প্রায় ১৫-২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি খুব ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রাস্তার ছাল-চামড়া উটতে উটতে এখন বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে বড় বড় গর্তগুলো যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়। এ রাস্তার চিত্র দেখে মনে হয় সাতক্ষীরা পৌরসভার সবচেয়ে অবহেলিত মানুষের বসবাস এ এলাকায়। এই রাস্তার করুণ দশার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ এলাকার মানুষ।
এরপরেও রাস্তাটির সুব্যবস্থা হচ্ছেনা। শুধু আশার বাণী শুনেই দিন পার করছে এলাকাবাসী।” প্রায় ১৫০ বিঘা জমির উপর সবুজ শ্যামলীময় বৃক্ষ শোভিত বাগান বাড়িতে রয়েছে বার্ডপার্ক, প্রজাপতি পার্ক, চিড়িয়াখানা, ন্যাচারাল সুইমিংপুল, রিসোর্টসহ বিভিন্ন আনন্দদায়ক ও নান্দনিক বিনোদনের ব্যবস্থা। একাধিক সূত্রে জানা যায়, সরকার প্রতি মাসে এ বাগানবাড়ি থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকার রাজস্ব পেয়ে থাকে। এছাড়া মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টে স্থায়ীভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবারের এবং অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমান দোকান দিয়ে আরও প্রায় এক’শ পরিবারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু সেই বাগানবাড়ীতে যাওয়ার একমাত্র এ রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে পরিণত হয়েছে মৃত্যুফাদে। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলার ভ্রমণপিপাসু হাজার হাজার শিশু, কিশোর, যুবক-যুবতী, তরুণ-তরণীসহ পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা রাস্তার বেহাল দশায় পড়েছেন বিপাকে।
এব্যাপারে মোজাফ্ফার গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট এর স্বত্তাধিকারী খায়রুল মোজাফ্ফার মন্টু বলেন, “দেশের একটি ছোট্র জেলার মতো জায়গায় বিনোদনের একটি স্থান গড়ে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থান ও দেশের বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা এ রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছে। এ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র আলহাজ্ব এম এ জলিল বলেন, “গত বছরের জুন মাসের পর থেকে আমরা রাস্তা সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত করেছি। সর্বশেষ সদর ২ আসনের এমপি মহোদয়ের ডি.ও লেটার নিয়ে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২-৩ দিন আগে এলজিইডি কর্তৃক সাতক্ষীরা এলজিইডি বরাবর পি.পি চেয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এলজিইডি কর্তৃক পিপি পাঠানো হলে আশা করছি এ কাজটি শুরু হবে।”
মন্তব্য চালু নেই