সাতক্ষীরায় বাড়ছে তালাক, এগিয়ে নারীরা

সাতক্ষীরা পৌরসভার মধ্যে গত দুই বছর যাবত স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে তালাকের প্রবনতা বেড়েছে। এসব তালাক প্রদানের ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে রয়েছে।
২০১৪ সালে ৭২ ভাগ স্ত্রী তাদের স্বামীদের তালাক দিয়েছেন। আর ২৮ ভাগ পুরুষ স্ত্রীদের তালাক দিয়েছেন। ১৩ সালের তুলনায় ১৪ সালে তালাক দেয়ার ঘটনা বেশী।
সাতক্ষীরা পৌরসভা সূত্র মতে, সাতক্ষীরা পৌরসভার মধ্যে ৩১ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে জনসংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার। বিগত ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৌরসভার মধ্যে বসবাসকারি এমন নারি ও পুরুষ তালাক প্রদান করেছেন ৩১০ জন। এদের মধ্যে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদানের ঘটনা ঘটেছে ২১০ জনের। বাকী ৯০ জন স্বামী তাদের স্ত্রীদের তালাক প্রদান করেছেন।
এসব তালাকের কপি রেজিস্ট্রি ডাক যোগে অবহিত করার জন্য পৌর মেয়রকে প্রদান করা হয়েছে।
২০১৩ সালে ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৌর এলাকায় বসবাসকারি পারিবারিক কলহের কারনে তালাক প্রদানের ঘটনা ঘটেছে ২৩০ জনের। এখানে ৭৩ ভাগ স্ত্রী তাদের স্বামীদের তালাক প্রদান করেছেন। একই সাথে ২৭ ভাগ স্বামী তাদের স্ত্রীদের তালাক প্রদান করেছেন।
বিগত ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে ৮০ জন নারি পুরুষ বেশি তালাক প্রদান করেছেন। এখানেও স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদান করেছেন ৭২ ভাগ।
সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান সহকারি প্রশান্ত ব্যানার্জী জানান, স্বামী বা স্ত্রীর যে কেউ পৌর এলাকার মধ্যে বসবাস করলে তালাক প্রদানের ক্ষেত্রে পৌর মেয়রকে আইনগতভাবে অবহিত করতে হয়। অর্থাৎ প্রদত্ত তালাকের এক কপি মেয়রকে পাঠাতে হয়।
উক্ত তালাকের কপি প্রাপ্তির পর ১৯৬১ সালের ৮ নং অডিন্যান্সের ৪০ (১) উপ ধারা মোতাবেক স্বামী বা স্ত্রীর যে কোনো পক্ষ আবেদন করলে মেয়র উভয় পক্ষকে নোটিশ তার নিষ্পত্তি করেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র এম এ জলিল বলেন, স্বামী-স্ত্রী কর্তৃক তালাক প্রদানের বিষয়ে প্রতিহত করার মত কোন ক্ষমতা তাদের হাতে নেই। তবে তালাক দাতা বা গ্রহিতারা যদি পুর্নমিলনের জন্য তাদের কাছে আবেদন করেন তাহলে তারা পৌর বিধি অনুযায়ী কাউন্সিলদের মাধ্যমে নোটিশ দিয়ে তাদেরকে হাজির করে ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন।
তালাক প্রবণতা প্রতিহত করতে শিশু বিবাহ বা বাল্য বিবাহ সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই