মৌবাক্স স্থাপন ও অনূকূল আবহাওয়ার কারনে
সাতক্ষীরা জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা
একরামুল কবীর : আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারের মৌসূমে সাতক্ষীরা জেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। গত বছর অধিক ফলন ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ার কারনে এবারের মৌসূমে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে কৃষকেরা সরিষা চাষ করেছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খামার বাড়ী সাতক্ষীরা থেকে জানানো হয়, এবারের মৌসূমে জেলায় সরিষার চাষের টার্গেট ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯শ’ ৪ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৪শ’ ৭৫ হেক্টর জমিতে। সুত্রটি জানিয়েছে, আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে আরো জমিতে সরিষার চাষ হবে। এতে করে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২শ’ হেক্টর বেশী জমিতে সরিষা চাষ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ সরিষার চাষ করা হয়েছে। দিগন্ত জোড়া হলুদ ফুলের সমারোহ। মৌ মৌ গন্ধে এলাকা মাতোয়ারা। সরিষা ক্ষেতের সৌন্দার্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে ক্ষেতের পাশে স্থাপন কৃত হাজার হাজার মৌ বাক্স। মৌ বাক্সের কোটি কোটি মাছির গুনগুন শব্দে মুখরিত বিস্তৃন এলাকা।
এবারের মৌসূমে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩ হাজার ১শ’২০,কলারোয়া উপজেলার ৩ হাজার ৪শ’৭৫ হেক্টর,তালা উপজেলার ৩ শ’ ৮৫,আশাশুনি উপজেলার ২ শ’ ৫, দেবহাটা উপজেলায় ১ হাজার ২৫,কালিগঞ্জ উপজেলার ৩শ’৯০,এবং শ্যামনগর উপজেলার ৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। সরিষার এখন চারা,ফুল এবং ফল এই অবস্থা বিরাজ করছে। কৃষকেরা এখন মহা ব্যস্ত সরিষার ক্ষেত পরিচর্চায়।
কলারোয়া উপজেলা কৃর্ষি কর্মকর্তা মোঃ মহাসীন আলী জানান, সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌবাক্স স্থাপন করা হলে পরাগায়ন হয় অনেক বেশী। তাতে করে স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ উৎপাদন বৃর্দ্ধি পায়। তিনি আরো জানান, শুধু সরিষা নয় এ থেকে উৎপাদিত হয় উকৃষ্ট মানের খাটি মধু।
সরিষা চাষের ১হাজার ৩শ হেক্টর জমিকে মৌ বাক্সেরআওয়াতায় আনা হয়েছে। এ সব ক্ষেতের পাশে ২ হাজার ৩শ’ ৩০ টি মৌ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। আর থেকে এ বছর প্রায় ৯ হাজার ২শ’মন মধু উৎপাদন হবে।
কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত সরিষার ন্যায্য মূল্য পেলে আগামী বছরে জেলায় আরো বেশী পরিমান সরিষার আবাদ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর।
মন্তব্য চালু নেই