পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের ঘটনায়........
কলারোয়ার কুমারনল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু
জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ কলারোয়া উপজেলার ১১৪ নং কুমারনল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিরীন সুলতানার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠায় গতকাল তদন্ত শুরু হয় এবং তা শেষ হয় দুপুর ২ টায়। সরোজমিনে যেয়ে দেখা গেছে. স্কুল প্রাঙ্গনে শতশত নারী পুরুষ, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী সবাই এসেছে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত টিমের কাছে কিছু বলতে।
গত ২১ জুলাই অভিভাবক আব্দুল লতিফ ও আমিনুর রহমান বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর দুইটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে উপজেলার দুই জন সহকারী শিক্ষক কর্মকর্তা আলমীগর হোসেন ও জাকির হোসেনকে নিয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। তদন্ত টিম সোমবার সকাল ১০ টায় স্কুলে যেয়ে এলাকার শতশত ছাত্রী-ছাত্রী, অভিভাবক ও জনপ্রতিধিদের কাছে শোনেন এবং তাদের কাছ থেকে লিখিত নেন।
তদন্তের এজেন্ডায় ছিল ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে উপবৃত্তির টাকা কর্তন ও আতœসাত, বিদ্যুৎ বিলের জন্য ২০ থেকে ৫০ টাকা করে নেওয়া, ভর্তি ফি-২০, সাট্টিফিকেট বাবদ ১২০টাকা, খেলা ধুলার জন্য বরাদ্দ ২,০০০ টাকা, শ্রেণী কক্ষ মেরামত বাবদ ৫,০০০ টাকা এবং ¯¬ীপের ৪০,০০০ টাকা স্কুলের কাজে খরচ না করে প্রধান শিক্ষিকা তা আতœসাত করেছেন। তিনি পুরস্কার কেনা, রং কেনা, হার্ডওয়ার সামগ্রী ও কলম, খাতা, ব্যানার কিছুই ক্রয় করেননি। সরকারি নিয়মে আছে বিদ্যুৎ বিলের টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া যায় না। তারপরেও ক্রয় কমিটি গঠন করতে হয়। খেলাধুলার শেষে পুরুস্কার দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মনোবল বাড়াতে হয়। এব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রিয়াজউদ্দীন জানান, তিনি সরকারি নিয়ম কানুন কি তা জানেন না, সব কিছুর মুলে রয়েছে তার স্বামী খায়রুল বাশার।
স্কুলের বিস্কুট নিয়ে পুকুরের মাছের খেতে দেওয়া ও সার্বিক দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত টিমের কাছে প্রশ্ন করা হলে টিম প্রধান এটিও আলমগীর হোসেন জানান, প্রাথমিক ভাবে সকল অভিযোগ গুলো তদন্ত করেছেন। এই তদন্ত প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করবেন। তদন্তকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ৩নং কয়লা ইউপির নব-নির্বাটিত চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন ও বিশিষ্ট প্রবীণ সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন দফাদার প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই