কলারোয়ায় ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত-৮, পুলিশের ফাঁকা গুলি বর্ষণ

আবুল কাসেম, সাত্ক্ষীরা থেকে: ভোট কারচুপি, নির্বাচনে অনিয়মসহ সহিংসতার কারণে সাতক্ষীরা জেলার ৫ টি উপজেলার ১৪ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়েছে।

কেন্দ্র গুলো হল, তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ভাগবাহ, অভয়তলা ও দাতপুর, সদর উপজেলার আলীপুর, মাহমুদপুর, ভাড়–খালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসা, কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের কলাটুপি ও শাকদাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া, শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের মেহেদী নগর, মাহজানপুর ও পূর্বকৈখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জেলার পাচটি উপজেলার স্ব স্ব নির্বাহী অফিসার এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

এদিকে, কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের বলিয়ানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জোর পুর্বক ব্যালট পেপার ছিনতাইকালে আওয়মী লীগ প্রার্থী মোরশেদ আলীর কর্মী-সমর্থকদের সাথে প্রতিপক্ষ বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক হোসেন অভির সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছেন। পরে, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ১৪ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে।
আহতরা হলেন, বলিয়ানপুর গ্রামের নুরহোসেন, রেজাউল ইসলাম, ইউনুছ আলী, আব্দুর রশিদ, শেহেরালী, নেছার আলী, শহিদুল ইসলাম ও লিটন ।

পুুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আওয়মী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরশেদ আলী ও তার কর্মী-সমর্থকরা প্রিজাইডিং অফিসারের অফিস কক্ষে ঢুকে প্রিজাইডিং অফিসাকে ব্যালট পেপার এবং সীল প্যাড দিতে বলেন। এত তিনি অস্বীকার করায় এক পর্যায়ে তার জামার কলার ধরে কিল ঘুসি মারেন তারা। এসময় তিনি মোবাইলে কথা বলার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে টেবিল থেকে ব্যালট পেপার টেনে সীল মারতে থাকেন। এসময় প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ফারুক হোসেন তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সেখানে হাজির হয়ে বাধা দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উক্ত সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হন। সেখানে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরনও ঘটানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ সেখানে ১৪ রাউন্ড গুলি ছোড়েন।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ করিম ১৪ রাউন্ড গুলি করার কথা স্বীকার করে বলেন, বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে ফাকা গুলি ছোড়া হয়।

অপরদিকে, সাতক্ষীরা জেলার চারটি ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থীরা ভোট কারচুপির অভিযোগ ভোট বর্জন করেন। ভোট বর্জনকারী প্রার্থীরা হলেন, সদর উপজেলার ধুলিহন ইউনয়নের বিএনপি প্রার্থী মোদাচ্ছেরুল হক হুদা, কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের শেখ আলমগীর হোসেন, কলারোয়া যুগিখালী ইউনিয়নের রবিউল ইসলাম, প্রতাপনগর ইউনিয়নের বিএনপি প্রার্থী শাহ আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদুর রহমান।
এছাড়া, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের কাঠালতলা, আমতলা , ঘরচালা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুলিহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুলিহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বড়দল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আশাশুনির গোদাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকরা ভোট কেন্দ্র দখল করে রাখেন বলে অভিযোগ করেন বিদ্্েরাহী ও বিএনপি প্রার্থীরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোট গননা চলছিল।



মন্তব্য চালু নেই