সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মোড়ে বেড়েছে বখাটে’র দৌরাত্ব ॥ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মোড়ে আবারও বখাটে’র দৌরাত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে প্রতিদিন কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরা হয়রাণীর স্বিকার হচ্ছে। কলেজ মোড় সংলগ্ন কয়েকটি মিনি হোটেল ও হোটেলের পিছনে এসব বখাটে চক্রে’র উৎপত্তি।

এসব বখাটের অত্যাচারে অতিষ্ট হচ্ছে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী, সাধারণ শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। আবার অনেক তরুনী লোকলজ্জার কারণে চোখ বুজে নীরবে সহ্য করছে ইভটিজিংসহ এসব বখাটের অত্যাচার। স্থানীয় সূত্র জানায়, সরকারি কলেজের কোন ক্যান্টিন না থাকায় শিক্ষার্থীরা বাইরে এসব হোটেলে বসে সময় কাটায়।

বিশেষ করে বাবু ভাইয়ের হোটেল ও তার পিছনে প্রশস্ত জায়গা শিক্ষার্থীদের ধুমপানসহ অন্যান্য অপকর্ম করতে সহায়তা করে। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিয়ে কলেজের সামনে শিবির কর্মী কামালসহ ১০-১৫ জন বখাটে কলেজ ছাত্রীদের উত্যক্ত করতে থাকে। এসময় পথচারীরা প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করে এবং সরকারি কলেজের সামনে বাবুু ভাইয়ের মিনি হোটেলে সংঘবদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে এ চক্রটি।

এছাড়া কলেজের সামনে এসব বখাটেরা প্রতিনিয়ত ওৎ পেতে থাকে এবং বিভিন্ন সময় পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল, সাইকেল ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনতাই করে। সরকারী কলেজের সামনে এধরনের কর্মকান্ড থেকে রক্ষা পেতে হলে প্রশাসনকে কঠোরভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। তাহলে এ পরিস্থিতি বন্ধ করা সম্ভব বলে জানান সচেতন মহল।

সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতিদিন বহিরাগত বখাটে ছেলেরা কলেজের সামনে ওৎ পেতে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হয়রানী করে থাকে। আমরা কলেজ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট মহুলের কাছে কলেজের ভিতরে একটি ক্যান্টিন করার জোর দাবী জানায়। তাহলে শিক্ষার্থী বহিরাগত বখাটের স্বিকার হবেনা।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজন বলেন, সরকারি কলেজের সামনে বখাটের দৌরাত্বের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা কলেজ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ বলেন, কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা নানাভাবে বখাটের উত্যক্তের স্বিকার হয়। এটা বন্ধ করতে হলে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। কলেজ চলাকালীন পুলিশের টহল আরো বাড়ালে এটা বন্ধ হবে।



মন্তব্য চালু নেই