সাতক্ষীরার কিছু খবর
সাতক্ষীরা পৌর আ.লীগের কাউন্সিলে সায়ীদ সভাপতি ও শাহাদৎ সম্পাদক নির্বাচিত
সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে সাবেক ছাত্রনেতা আবু সায়ীদ সভাপতি ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার সন্ধ্যায় কাউন্সিলরদের ভোট গণনা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
এতে সাবেক ছাত্রনেতা আবু সায়ীদ ৮২ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সভাপতি শেখ নুরুল হক পেয়েছেন ৫০ ভোট। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন ১০৭ ভোট পেয়ে পুনর্নিবাচিত হন।
এর আগে রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, মাদক ও শোষণমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাজ শুরু করেছেন ঠিক তখনি বেগম খালেদা জিয়া নতুন করে জামায়াত-শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। ৭৫-এ যারা বঙ্গবন্ধুকে স্ব পরিবারে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করেছিল সেই ৭১ এর পরাজিত শক্তির উত্থানে সহায়তা করেছিলেন তারেক রহমানের পিতা জিয়াউর রহমান। দেশের ভিতরে ঘাঁপটি মেরে থাকা সেই শক্তিকে চিরতরে উৎপাটন করতে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে থেকে কাজ করতে হবে।
এসময় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য এসএম কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর আসনের এমপি মীর মোস্তাক আহমেদ রবি প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ আশাশুনির ৩১জন ব্যক্তি ক্ষতিপূরুন পায়নি
সাতক্ষীরায় জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ জেলার আশাশুনি উপজেলার ৩১ জন ব্যক্তি এখনও তাদের কাঙ্খিত ক্ষতিপূরুন পায়নি। পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা পরিবার পরিজন নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জ্নী যাপন করছে। গতকাল রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা।
আশাশুনি উপজেলার ৩১ জন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান স্থানীয় বুধহাটা বাজারের সুলভ বস্ত্র বিতানের মালিক চন্দন দেবনাথ। তিনি বলেন, গত ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর বিএনপিও জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি-ঘরও চিংড়ি ঘেরসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। যার ফলে তাদের পরিবার গুলো মারাত্মক ভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। সহায় সম্বল হারিয়ে সেই থেকে তারা মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে। বিষয়টি সে সময় আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ জানিয়ে প্রধান মন্ত্রী বরাবার আবেদন করতে বলেন। নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আবেদন করার পর গত ২০ জানুয়ারী সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তাদেরকে নিরাপত্তা পাশ দেয়া হয়। এসময় কিছু ব্যক্তিকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয় এবং পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তাদেরকে ক্ষতিপূরুন দেয়া হবে বলে জানানো হয়। গত ২০ আগষ্ট আশাশুনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে তদন্ত পূর্বক প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ ৩১ জন ব্যক্তির তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসক বরাবার প্রেরণ করেন। কিন্ত দুঃখের বিষয় একবছর পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তাদের ৩১ জনকে কোন আর্থিক সহযোগিতা বা ক্ষতিপূরুন দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, সহিংসতার শিকার হয়ে পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা অতিদ্রুত যাতে তাদের কাঙ্খিত আর্থিক ক্ষতিপূরুন পেয়ে কিছুটা হলেও সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আশাশুনি উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ ৩১ জন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে একই দাবিতে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থরা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে একটি মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।
মন্তব্য চালু নেই