সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে ইছামতি নদী অবৈধ দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মান

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সদর দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতি নদীর পাড় অবৈধ দখল করে পাকা স্থাপনা তৈরীর প্রতিযোগিতা চলছে। নির্মান করা হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। দখলকারীদের অত্যাচারে ইছামতি নদী হুমকীর মুখে পড়েছে।

তবে দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কালিগঞ্জ উপজেলা অফিস সুত্রে জানা গেছে, ইছামতি নদীর কালিগঞ্জ থানার সামনে থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিস সংলগ্ন স্লুইজ গেট পর্যন্ত এলাকা জুড়ে পাকা স্থাপনা নির্মান করেছে জনৈক শহিদুল ইসলাম ওরফে পুটে চারটি দোকান, জনাব আলী দুটি দোকান, বাবু দুটি দোকান ও সুজিত একটি করে দোকান নির্মান করেছে।

এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু একটি মার্কেট নির্মান করছেন। তিনি পাকা মার্কেটটির লিনটন পর্যন্ত কাজ শেষ করেছেন। তবে এসব জবর দখলকারীরা সংশ্লিষ্ট কারো কোনো অনুমতি না নিয়েই ইচ্ছেমত ইছামতি নদী দখল করে তাতে পাকা স্থাপনা নির্মান করেছেন।

নদী বাঁচাও আন্দোলন কমিটির সাতক্ষীরা জেলা আহবায়ক অধ্যক্ষ আশেক-ই- এলাহী জানান, ইছামতি না বাঁচলে অন্যান্য নদী বাঁচবে না। তিনি বলেন, ইছামতির সাথে যুক্ত রয়েছে খোলপেটুয়া, যমুনা, মরিচ্চাপ, কপোতাক্ষ ও বেতনা নদী। বর্তমানে ইছামতি নদী যে ভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে তাতে করে অন্যান্য নদী বাঁচানো সম্ভব হবে না।

DSC07364

তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের চোখের সামনে এক শ্রেনীর ভুমিদস্যুরা এই চলমান ইছামতি নদী গ্রাস করে তাতে পাকা স্থাপনা নির্মান করছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ জানান, চলমান নদী দখল করে সেখানে পাকা স্থাপনা তৈরী করা এটি খুবই অপরাধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড লিখিত ভাবে জানালে যে কোনো সময় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয়া হবে। যেহেতু এটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধিন সেকারনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একক ভাবে কিছু করা যায় না।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন ১- এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল হামিদ জানান, কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের সামনে চলমান ইছামতি নদী অবৈধ দখল করে বেশ কিছু পাকা স্থাপনা নির্মান করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় এজাহার দেয়ার পরও কিছু করা যাচ্ছে না।

তবে খোজ নিয়ে জানা গেছে, কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডেও এসও ওবায়দুল হক মল্লিক কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে। তবে তাতে কোনো দখলকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।

DSC00411



মন্তব্য চালু নেই